চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
মা ইলিশ রক্ষা পেলে, দেশে প্রচুর ইলিশ মেলে। এই শ্লোগান যেন শুরু লিফলেট, ব্যানার আর আলোচনাই সিমাবদ্ধ। নেই কোন প্রতিকার নেই কোন উদ্দ্যেগ। অজ্ঞাত কারনে নিরব কতৃপক্ষ। যেন নেই কোন দায়িত্ব মুখে না বললেও যেন রয়েছে মৌন সম্মতি।
চিলমারী ব্রহ্মপুত্রে যেন চলছে ইলিশ ধরার উৎসব। থেমে নেই যুবক, বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোররাও। উপজেলা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী হওয়ায় এলাকার চরাঞ্চলসহ নদীর আশপাশের মাঝিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নেমে পড়েছে মা ইলিশ ধরার উৎসবে। মৎস্য অফিসার নেই মাঠে খুজে পাওয়াই মুশকিল প্রশাসনকে। অজ্ঞাত কারনে সকলে নেই নিরব হয়ে আছে। এলাকার নদ-নদীতে বেশ কিছুদিন থেকে ডিমওয়ালা ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়ায় আসন্ন মূল প্রজনন মৌসুমে জাতীয় এ মাছের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলেন মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, ১ই অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু সরকারি আদেশ অমান্য করে কতৃপক্ষের নাকের ডগায় ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে মা-ইলিশ ধরার মহা-উৎসব। বড় ইলিশের সঙ্গে বাদ পড়ছে না ছোট আকারের জাটকাও। ব্রহ্মপুত্র নদ এখন যেন ইলিশ শিকারির দখলে। নদীতে তাকালেই নজর পড়ছে শতশত ইলিশ ধরার নৌকা। নদীর পাড়ে প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ইলিশ। মা ইলিশ রক্ষায় সোচ্চার নন উপজেলা মৎস্য অফিসার। ফলে দল বেঁধে জেলে, মাঝি এবং জনগণ সবাই ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়ের মেতে উঠেছে। জাল নৌকা জেলে আটক করে অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদবাজির অভিযোগ। মৎস্য আড়তে হরদম চলে ইলিশের আড়তদারি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত, ইলিশ প্রজনন রক্ষা অভিযান তো নয়, এ যেন ইলিশ নিধন, বিক্রি, সংগ্রহ এবং কম দামে ইলিশ খাওয়ার উৎসব। পরিকল্পিতভাবে প্রশাসন কিংবা মৎস্য দপ্তরের অভিযান পারিচালিত না হওয়ায় সমূলে ইলিশ ধ্বংসযজ্ঞের মহড়া বেশি হচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। চিলমারীতে যে হারে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ আহরণ হচ্ছে, আগামী ভরা মওসুমে ইলিশ উৎপাদনে এ বছরের চেয়েও আরো খারাপ পরিস্থিতি হবে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেরই অভিযোগ, প্রশাসনে কিছু লোকজন গোপনে ভয়ভিতি দেখিয়ে জেলেদের মাছ আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু যারা মাছ বিক্রি এবং আড়তদারি করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। নৌ-থানার (ঢুষমারা থানা) অফিসার ইনচার্জ বলেন মানুষ জনের অভিযোগ শুধু পুলিশের উপর। আমরা চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। এবং ইতি মধ্যে দু’জনকে আটকও করেছিলাম কিন্তু মৎস্য অফিসার থাকলে আরো ভালো হবে। এব্যাপারে মৎস্য অফিসার মোঃ বদরুজ্জামান মিঞা (রানা)এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি খুব রেগে গিয়ে বলেন আমরা কি ক্যামেরা নিয়ে বসে থাকবো। না সব বিষয় আপনাদের জানাতে হবে। আপনার যা ইচ্ছা লেখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *