শফিউল আলম শফি,কুড়িগ্রাম ঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদে ঝুকিপুর্ন সোনাহাট রেল সেতুর পাশে আর একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মান হতে যাচ্ছে খবরে সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানী রফতানী ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন বলে জানা গেছে । সোনাহাট স্থল বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তারটি উপর খড়স্রোতা দুধকুমার নদে সোনাহাট রেল সেতু বিট্রিশ আমলে নির্মিত হয়। ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনী দুধকুমর নদের পুর্ব পাড়ের ৭টি ইউনিয়ন মুক্ত রাখার স্বাথে ওই ব্রীজের দুটি স্প্যান উড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার পরে ১৯৯২সালে স্প্যান দুটি পুর্নস্থাপন করা হয়। তবে ব্রিজটি অতি পুরোনো হওয়ায় বর্তমান তা চলাচলের খুবই ঝুকিপুর্ন হয়ে পরেছে। ফলে সোনাহাট স্থল বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা ট্রাক লোর্ড দিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে পারছে না। সে কারনে বর্তমান সেতুটির দক্ষিনে অপর একটি সেতু নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বরকত মোঃ খুরশিদ আলম জানান,৪‘শ মিটার সোনাহাট রেল সেতুর ৪১৩মিটার ভাটির দিকে নতুন একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মান করা হবে। ৬০৪দশমিক .৬৭৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৬কোটি টাকা। প্রস্তাবিত ওই সেতুতে ১৪টি পিলার ও ১৩টি স্প্যান নির্মানসহ উভয় পাশে দেড় কিলোমিটার করে আ্যপোচ সড়ক ও টোল প্লাজা নির্মান করা হবে। সুত্রটির মতে ১০১৮সালে সেতুর কাজ শুরু করে ২০২০সালে তা শেষ হবে। সেতুটি নির্মান হলে সোনাহাট স্থল বন্দরের আমদানী রফতানীর যে স্থবিরতা আছে তা কেটে যাবে । এছাড়া নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা দু‘টির ৭টি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের বিড়ম্বনা দুর হবে। সোনাহাট স্থল বন্দরের আমদানী রফতানীকারক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জার জানান,বর্তমান সোনাহাট সেতুটি খুবই ঝুকি পুর্ন । ওই সেতু দিয়ে বর্তমান ৫টন মাল আনা নেয়া করা যায় না। নতুন সেতু নির্মান হলে সানাহাট স্থল বন্দরের ব্যবসা বানিজ্য চাঙ্গা হবে । কেদার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, সোনাহাট রেল সেতুটি যানবাহন চলাচলে খুবই বিপদজনক। ওই সেতু দিয়ে ট্রাকে করে মাল আনতে খুব ভয় লাগে। নতুন সেতু হলে সবদিক থেকে মানুষ উপকৃত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *