লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট ২ (আদিতমারী – কালীগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এঁর পূত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ জনসভায় নৌকা মার্কার জন্য জামায়াতের ভোট চেয়ে সমালোনার জন্ম দিয়েছেন।
সোমবার (২৫ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে আদিতমারী পলাশী স্কুল মাঠে এক জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের কাছে ভোট চান।
মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জনসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজকের এই মঞ্চ থেকে বলছি, এই এলাকার যারা জামাত, বিএনপি ভাইয়েরা আছেন তাদের কাছে আমি দোয়া চাইছি। তাদের কাছে আমি ভোট চাইছি। আপনাদের মূল্যবান ভোট নৌকা প্রতীকে দেন। আমার বাবার প্রতীকে দেন, আপনাদের ভালো হবে”। জনসভায় প্রায় হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মন্ত্রী পূত্রের এমন বক্তব্য ভোটের মাঠে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
জনসভায় তিনি আরো বলেন, ‘ আপনাদের বিচার দিয়ে গেলাম যারা আমার বাবার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে মিথ্যাচার করছে তাদের বিচার আপনারা করবেন। আমার বাবার হারাবার কিছু নেই, আপনারা তাকে দুইবার এম.পি বানিয়েছেন। আমার বাবা তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন না। নুরুজ্জামান আহম্মেদ সম্পর্কে খারাপ কথা বলতেই থাকুন, আপনারা আরও বলেন, কিন্তু ৭ তারিখের পরে কোথায় যাবেন। তখন কি আদিতমারি-কালীগঞ্জের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে। বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। আদিতমারি- কালীগঞ্জ আসতে পারবেন। এই কথাটা চিন্তা করেন। নোংরা কথা বলছি না, ভদ্রভাবে বলছি, নুরুজ্জামান আহম্মেদ সম্পর্কে খারাপ কথা বলিয়েন না’ বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ভোট সবার কাছে চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে প্রকাশ্যে জনসভায় এভাবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের নৌকা মার্কায় স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের ভোট চাওয়া ঠিক হয়নি। স্বাধীনতার মাসে মন্ত্রীপূত্র এবং একজন আওয়ামিলীগ নেতার মূখে এমন বক্তব্য কাম্য নয়।
ওই নির্বাচনী জনসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, সংসদীয় আসন লালমনিরহাট ০২ (আদিতমারি- কালীগঞ্জ) নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এম.পি। এসময় আদিতমারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, কালীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, মন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান সহ প্রায় এক হাজার দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *