ফারহানা আক্তার জয়পুরহাটঃ

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসি ও একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে নবম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর মোয়াজ্জেম বাড়ি থেকে বের হয় পরে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাসায় না পৌছালে অনেক খোঁজা খুঁজির পর তার পরিবার জানতে পারেন তাকে জখম করা হয়েছে। পরে শহরের জামালগঞ্জ রোডের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা ও পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করালে সেইদিন রাতেই মোয়াজ্জেমের মৃত্যু হয় ৷
পরে ২৯ জুন মোয়াজ্জেমের পিতা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেয়
আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদীন, শান্তিনগর এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে সরোয়ার, আরাফাত নগরের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান, দেওয়ান পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোনোয়ার হোসেন, তেঘর বিশা গ্রামের মৃত্যু কাবেজ উদ্দিননের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেওয়ানপাড়া গ্রামের আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, দেবীপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে শাহী, দেওয়ান পাড়া গ্রামের ওয়ারেছের ছেলে টুটুল, দেবীপুর গ্রামের রফিকের ছেলে সুজন, দেবীপুর গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম, ও নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু। এদের মধ্যে ৬ জন আসামি পলাতক রয়েছে৷ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন এ রায়ের মাধ্যমে মামলার বাদীপক্ষ ন্যয় বিচার পেয়েছেন।

এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হেনা কবির জানান, এ মামলার সকল আসামির বিরুদ্ধে একই রায় দেওয়া হয়েছে যা আইনের দৃষ্টিকোন থেকে সঠিক হয়নি। কারণ সব আসামির বিরুদ্ধে ওভার এ্যাক্ট নাই এবং তাদের কোন সম্পৃক্ততাও নাই, তারপরও তাদেরকে জেল দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এটা আইন গত ত্রুটির একটা রায়। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে গেলে এ আসামিরা খালাস পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *