ফারহানা আক্তার ,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি আসনে টানা তিন বারের মতো আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান সাংসদ ও সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু। টানা দুই বারের এমপি হওয়ার সুবাদে আসনটিতে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির ও ব্রীজ কালভার্টসহ ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। একারনে দলমত নির্বিশেষে সবদলের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছেন তাঁর। তবে এমপি দুদু ছাড়াও জয়পুরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে আরো ৬ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তবে নৌকার বিপরীতে শক্ত অবস্থানে
হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবীন আওয়ামীলীগের নেতা ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক দুই বারের মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্ল্যা (কাঁচি) প্রতীক, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম (ঈগল) প্রতীক ও সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম রায়হানুল হক মনু (ট্রাক) প্রতীক। এছাড়াও জাতীয় পার্টির একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন (লাঙ্গল) প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মো. মাছুম (সোনালীআঁশ) প্রতীক, নাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) রুকুনুজ্জামান (আম) প্রতীক।আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জয়পুরহাট-১
আসনে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রয়েছেন। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মী পর্যন্ত গ্রুপিংয়ের কারনে বিভক্তি হয়ে পড়েছেন। গ্রুপিংয়ের রাজনীতির কারনে অতীতে বিভিন্ন সভা সমাবেশে একে অপরকে দোষারোপ করতে দেখা গেলেও বর্তমান দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে নিজেদের বিভেদ ভূলে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন নেতাকর্মীরা। যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে নৌকার পক্ষে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে গ্রুপিংয়ের কারনে আওয়ামীলীগের ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা রয়েছেন।জয়পুরহাট-১ আসনে বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ, নাগরিক কমিটির আহবায়ক, শিক্ষাবিদ ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, উত্তর জনপদের কৃষি নির্ভরশীল জেলা জয়পুরহাট। এক সময়ে জয়পুরহাটের মাটি জামায়াত-বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিতি ছিল। সেই আসনে পরপর টানা দুই বারের সাংসদ নির্বাচনে সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডঃ সমাছুল আলম দুদু ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ব্যাক্তি হিসেবেও তিনি দলমত নির্বিশেষে প্রায় দলের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া এই আসনে আওয়ামীলীগের গ্রুপিং হওয়ার কারনে নিজেদের ভোট কাটাকাটি হতে পারে।একারনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীদের টার্গেট এখন জামায়াত-বিএনপির ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা গোপনে জামায়াত-বিএনপির ভোট নিজেদেরর বাক্সে নেওয়ার কৌশলগত নকশা আঁকছেন। নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির প্রার্থী না থাকায় সুযোগ কাজে লাগাতে চান তাঁরা। যেহেতু এই আসনে জামায়াত-বিএনপির ভোটার বেশি রয়েছে। সেকারনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের টার্গেট যেকোনো মূল্যে জামায়াত-বিএনপির ভোট সংগ্রহ করা। একারনে হাট-বাজার ও পাড়া মহল্লায় গিয়ে ভোটের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *