মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) এর উদ্যোগে ড. ওয়াজেদ অডিটরিয়ামে ৪ জুলাই সকাল ১০টায় “বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতসমুহের পরিচিতি ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি এবং বিনামুল্যে বীজ বিতরন” শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহ জেলার সাধারন সম্পাদক ও বিনা, ময়মনসিংহের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সদস্য জননেতা এডভোকেট মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি গবেষনা ও কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিনার বীজ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া সম্বব। বিনার বীজ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কৃষকের ভাগ্যেউন্নয়ন তরান্নিত হবে। বিনা উদ্ভাবিত বীজ প্রযুক্তি জনগনের কল্যানে ব্যবহার করতে সদাপ্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, জনগনকে উৎসাহিত হয়ে বিনার কাছে আসতে হবে। তাহলে ফসল উৎপাদনে বিনার উদ্ভাবন ফলপ্রসু হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষন ও উৎপাদনের মাধ্যদিয়ে বিনা জনগনের দোরগোরায় পৌছতে সদাসর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, বিনার মানুষ বিনার ডিজি হলে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে নিরলস ভাবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারে। অন্য কোন পরিবেশ থেকে ডিজি করা হলে কাজের বেঘাত হওয়ার সম্বাবনা থাকে। বর্তমান ডিজি মহোদয়কে নিয়োগ দেয়ায় তিনি মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রনালয়ে প্রতি কতেজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উধৃতি দিয়ে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেকের বাড়ীর আঙ্গিনায় একটুকরো জায়গাও খালি রাখা যাবেনা। খালি জায়গায় গাছ লাগালে ফল ও ফসলে ভড়ে যাবে কৃষকের গোলা। প্রশিক্ষনার্থী কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২৬ টাকার বিনিময়ে ১ কেজি বীজের মাধ্যমে একজন কৃষক ৮০ কেজি বীজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। একজন কৃষক বিনার বীজ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করলে অন্য সব ব্যবসায়ীদের তুলনায় কম লাভবান হবেননা। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধনবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও বিনা, ময়মনসিংহের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সদস্য মীর ফারুক আহমদ, বিনা, ময়মনসিংহের পরিচালক (গবেষণা) ড. হোসনেয়ারা বেগম, পরিচালক (প্রশিক্ষন ও পরিকল্পনা) ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্টসাভিস) ড. মো: আবুল কালাম আজাদ, পিএসও ও কর্মসুচী পরিচালক (চর উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ী এলাকার উপযোগী ফসলের —শস্যনিবিড়তা বৃদ্ধিকরন কর্মসুচী)। “বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতসমুহের পরিচিতি ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি এবং বিনামুল্যে বীজ বিতরন” শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষনে কারিগরি সেশনে বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতসমুহের পরিচিতি বিষয়ে রিসোর্স পারসন হিসাবে আলোচনা করেন বিনা, ময়মনসিংহের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের পিএসও ড. শামসুন্নাহার বেগম, ধান চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল ও বীজ সংরক্ষন প্রক্রিয়া বিষয়ে আলোচনা করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের পিএসও ড. শহীদুল ইসলাম, ধানের প্রধান রোগ পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সিএসও ও প্রধান ড. মো: আবুল কাশেম, ধানের প্রধান পোকামাকড় পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করেন কীটতত্ত্ব বিভাগের পিএসও ও প্রধান ড. মো: তাজমুল হক, ধান চাষাবাদে সার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার সিএসও ও শাখা প্রধান ড. মো: ইকরাম উল হক। প্রশিক্ষন শেষে প্রশিক্ষনার্থী কৃষকের মাঝে বিনার উদ্ভাবিত বীজ বিতরন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনা নতুন নতুন বীজ উদ্ভাবন করে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য বয়ে এনেছে। বর্তমানে কৃষিক্ষেত্র কৃষকের ভাগ্যউন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। একজন কৃষক বিনার বীজ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করছে অবশ্বই লাভবান হবে। তিনি বলেন, বিনা কৃষকের পাশে রয়েছে, কৃষককেও বিনার সহযোগিতা নেয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *