জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে হাসিল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন।
স্থানীয়রা জানায়, হাসিল বটতলা থেকে কামালখান বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে নানা ধরনের গাছ রয়েছে। এসব গাছ জনগনের জমির পাশে থাকলেও তা এখন সরকারি হিসেবে গন্য। হাসিল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার স্কুলের পাশের রাস্তার এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান তারা।

স্থানীয় নজরুল ইসলাম বলেন, যেখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে তার পাশের জমির অবৈধ মালিকানা দাবি করেন প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। তিনি জমির মালিক না হয়েও কয়েকবছর আগে এই জমি থেকে প্রায় দুই শতাধিক গাছ তুলে নেন ক্ষমতার জোরে।

ওই গ্রামের হবিবর জানান, রাস্তার পাশের এই গাছগুলো আমরা রোপণ করেছি। এখন সে গাছ রাস্তার পাশে পড়েছে এবং তা সরকারি গাছ হয়েছে। সরকার তার প্রয়োজনে এই গাছ যদি কেটে নেয় তাহলে আমাদের কোন দাবি নেই। কিন্তু স্থানীয় কেউ এটি কাটার চেষ্টা করে আমরা এলাকাবাসী এ কাজে বাঁধা প্রদান করবোই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আরেক ব্যাক্তি জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি হাসিল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষা মন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আসার কথা রয়েছে বলে শুনেছি। তাদের জন্য হেলিপ্যাড নির্মানের কথা বলে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এসব গাছ কাটা শুরু করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমি শুনেছি শিক্ষা মন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এখানে গাড়িতে করে আসবেন। তাহলে গাছ কাটার আসল উদ্দেশ্য কি?

অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী আমার স্কুলে শিক্ষা মন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আসার কথা রয়েছে। তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য একটা ফাঁকা জায়গা দরকার। তাই স্কুলের পাশে ফাঁকা জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরীর জন্য আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাই। এখন কে গাছ কেটেছে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানই ভালো বলতে পারবেন, আমি জানি না।

এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ জানান, সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়ন গাছ কাটা নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।জামালপুরের হাসিল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতার
বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে হাসিল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন।
স্থানীয়রা জানায়, হাসিল বটতলা থেকে কামালখান বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে নানা ধরনের গাছ রয়েছে। এসব গাছ জনগনের জমির পাশে থাকলেও তা এখন সরকারি হিসেবে গন্য। হাসিল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার স্কুলের পাশের রাস্তার এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান তারা।

স্থানীয় নজরুল ইসলাম বলেন, যেখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে তার পাশের জমির অবৈধ মালিকানা দাবি করেন প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। তিনি জমির মালিক না হয়েও কয়েকবছর আগে এই জমি থেকে প্রায় দুই শতাধিক গাছ তুলে নেন ক্ষমতার জোরে।

ওই গ্রামের হবিবর জানান, রাস্তার পাশের এই গাছগুলো আমরা রোপণ করেছি। এখন সে গাছ রাস্তার পাশে পড়েছে এবং তা সরকারি গাছ হয়েছে। সরকার তার প্রয়োজনে এই গাছ যদি কেটে নেয় তাহলে আমাদের কোন দাবি নেই। কিন্তু স্থানীয় কেউ এটি কাটার চেষ্টা করে আমরা এলাকাবাসী এ কাজে বাঁধা প্রদান করবোই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আরেক ব্যাক্তি জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি হাসিল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষা মন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আসার কথা রয়েছে বলে শুনেছি। তাদের জন্য হেলিপ্যাড নির্মানের কথা বলে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এসব গাছ কাটা শুরু করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমি শুনেছি শিক্ষা মন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এখানে গাড়িতে করে আসবেন। তাহলে গাছ কাটার আসল উদ্দেশ্য কি?

অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী আমার স্কুলে শিক্ষা মন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আসার কথা রয়েছে। তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য একটা ফাঁকা জায়গা দরকার। তাই স্কুলের পাশে ফাঁকা জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরীর জন্য আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাই। এখন কে গাছ কেটেছে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানই ভালো বলতে পারবেন, আমি জানি না।

এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ জানান, সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়ন গাছ কাটা নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *