ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে সোমবার গভীর রাতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বাঞ্চালসহ মেয়ের বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে মেয়েকে বিয়ে দিবেনা মর্মে অঙ্গীকার আদায় করেছে বলে জানাগেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে (১৭) বিয়ে দেয়ার পূর্ব মূহূর্তে এ ঘটনা ঘটে। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রগাম অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে সংবাদ আসে বিনিয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে সন্ধ্যায় বিয়ে দেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে জেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বিকেলে সেই বাড়িতে গিয়ে বিয়ের বিষয়টি সত্য বলে জানতে পারেন। এ সময় মেয়ের বাবাকে ডেকে তিনি সতর্ক করেন ও কোন অবস্থায় বাল্য বিয়ে দিবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার গ্রহস করেন।
পরে তিনি চলে আসার পর গভীর রাতে ঐ ছাত্রীকে পুনরায় বিয়ে দেয়া আয়োজন চলছে বলে পুনরায় সংবাদ আসে। সংবাদ পেয়ে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানালে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় এসআই হারুনকে ঘটনা স্থানে পাঠান। এসআই হারুনসহ পুলিশের একটি টিম বিয়ে বাড়ী গেলে টের পেয়ে বিয়ে করতে আসা বর গোপাল হালদার ও তার সাথে আসা লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে।
এক পর্যায়ে পিরোজপুর জেলাধীন নাজিরপুর উপজেলার মালিখালি ইউনিয়ের খাগড়াখালি গ্রামের মৃত মনিদ্র হালদারের ছেলে বর ও বরযাত্রী হিসাবে আগতরা বিয়ে না করেই আত্মগোপন করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়ের বাবা বিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *