পঞ্চগড় প্রতিনিধি;
পঞ্চগড় তেতুলিয়ায় উপজেলার ফকির পাড়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ নিয়ে কমিটির বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে,ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক সুপার মো; জিয়াউল হক ও পরিচালনা ব্যবস্থাপনা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মো; আয়ুব আলী, মাদ্রসার শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বেনজির আহম্মেদ

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলীর বিরুদ্ধে,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ তিনি গোপনে রাতের আধারে নিজেদের পছন্দের লোককে নিয়োগের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের করে নিয়োগ প্রদান করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী জানান, গত শনিবার ১৭ জুন সাপ্তাহিক ছুটি দিনে সকালে নিয়োগ প্রদান করা হয়।অভিযুক্ত স্থানীয়রা ৭ জনের নাম উল্লেখ করেন অভিযোগ তোলেন।

অভিযোগে প্রকাশ জানা যায়,নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য একটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যে ( পত্রিকা এলাকা আসে না গোপন)।আগ্রাহী নিয়োগ প্রার্থীদের কাছে থেকে গোপনে আবেদন আহবান করেন বিদ্যালয় পরিচালনা ম্যানেজিং কমিটি। ফকিরপাড়া মাদ্রাসার বর্তমান প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক
ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আয়ুব আলী
নিয়োগ নামে চাকরী দিবেন অর্থ
বানিজ্য করেন বলে ভুক্তভোগী তার অভিযোগে জানান,
এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে
জানান,নিয়োগবিধি নীতিমালা মেনে আবেদন করেন। পরে দেখেন টাকার বিনিময় চাকরি প্রদান করেন।

আবেদনের পর হইতে নিয়োগের কোন নিয়ম না মেনে গোপনীয়তার সহিত চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী আয়া পদে
, নৈশ প্রহরী পদসহ আরো বিভিন্ন পদের আবেদনকারীদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেন বলে জানান।
মাদ্রাসার
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
নিকট হতে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আয়া এবং
নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার ফাইনাল করিয়াছেন বলে

জানা যায়। যা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন।
অনৈতিক অর্থ উৎকোচের বিনিময়ে
ও অত্র মাদ্রাসার নৈশ পহরি
পদে ম্যানেজিং কমিটির আরেক সদস্য প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা ফাইনাল করিয়াছেন।
প্রধান শিক্ষক প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার চুক্তি পায়তারা চলছে বলে জানা যায়।

প্রার্থীদেরকে যাচাই বাছাই ছাড়াই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং গভীর ষড়যন্ত্র করে নিজ লোকদেরকে মোটা অংকের অর্থ ঘুষ লেনদেন হওয়ায় গত শনিবার ২৬ জুন এবং ১৭ জুন মাসে বিদ্যালয়ের সভাপতি
প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে ওই এলাকা। এলাকায় দাবী

তদন্তের মাধ্যমে এই গোপন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত এবং নতুন করে প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যোগ্য মেধা প্রার্থীদেরকে নিয়োগের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও সহসভাপতির শাস্তি
দাবি করা হয়। এ ব্যাপারে ফকিরপাড়া মাদ্রসার অভিভাবক সোলেমান আলী
জানান, দুটি নিযোগে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে।

, শূন্যপদের
নিরাপত্তা প্রহরী, , আয়া এই পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তবে কত তারিখে কিংবা কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, তা জানতে চাইলে এটি প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় বিষয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া দাখিল মাদ্রসার সুপার জিয়াউল হক সাথে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করেলে তিনি ফোন ধরেনি।

একই অভিযোগ করেন আয়া পদে চাকুরি প্রত্যাশী মাহমুদা বেগম, মোছাঃমিলি বেগম

তিনি বলেন, আমি ২০২০ সালে আবেদন করি আয়া পদে কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে আবার নতুন করে বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করেছে গোপনে৷ আমরা মাদ্রাসার সুপার ও কমিটির লোকজন বিভিন্ন প্রার্থীর কাছে টাকা চেয়ে ছিল আমরা দিতে না পারায় কৌশলে তাদের লোকজনকে চাকুরী দেয়ার জন্য আজকে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করেন। আমরা এটার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি ।

বিষয়ে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি প্রত্যাশী নুরুজ্জামান,রবিউল ইসলাম জানান,
তারা তাদের নিজের স্বজনদের আবেদন করিয়ে আমাদের বঞ্চিত করেছে। মেধার ভিত্তিতে চাকুরী হউক এবং সেটা প্রকাশ্যে হউক এটাই আমাদের দাবী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *