এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির:
আমার জমি ছিলনা, ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমারে জমি দিয়ে, ঘরও দিছে। অ্যাহন স্ত্রী, সন্তান নিয়া আর পথে পথে ঘুরতে হবে না। শেখ হাসিনা য্যানো দীর্ঘজীবি হয়। নামাজ পইড়া তার জন্য দোয়া করবো আল্লায় য্যানো তারে সুস্থ রাহে। উপহারের ঘরের দলিল হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক মো. ফিরোজ হাওলাদা (৪৫)।

বাগেরহাটেরশরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার এক সময় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। ১৯৯৯ সালে ফেনীতে একটি ভবনে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় বা পা হারান তিনি। এর পর থেকেই বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। শহরে শহরে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে চলছিল সংসার। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পথে পথে যাযাবরের মতো জীবন কাটছিল তার। পরে উপজেলা প্রশাসন তাকে খুঁজে বের করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর প্রদান করে। এখন তার নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে ভিক্ষুক ফিরোজ হাওলাদারসহ শরণখোলার আরো চার ভূমিহীন পরিবারকে। অন্য ঘরপ্রাপ্তরা হলেন লোকমান হোসাইন, মো. হালিম মাঝি, মো. সুজন ফকির এবং মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার। ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামে এই পাঁচটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঘরের দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত আকন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু, জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন প্রমুখ।

ইউএনও নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে পাঁচ ভূমিহীন পরিবারকে টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীরা যাতে ভালোভাবে সেখানে বসবাস করতে পারেন সেজন্য সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *