ঢাকা সংবাদদাতাঃ
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কবি গোলাম মোস্তফাকে এক স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ইসলামি ভাবধারার সাহিত্য রচনায় রয়েছে তার বিশেষ কৃতিত্ব। বাঙালি মুসলমানের জাতীয় জাগরণ তার সাহিত্যেকর্মের মূল উদ্দেশ্য।
শুক্রবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে কবি গোলাম মোস্তফা’র ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত কবি গোলাম মোস্তফার অবদান বাংলা সাহিত্যে এক বিরল দৃষ্টান্ত। স্কুল জীবনেই এই কবির সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। এ সময় তাঁর ‘আর্দ্রিয়ানোপল উদ্ধার’ কবিতাটি মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘রক্ত রাগ’ প্রকাশিত হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দু’লাইন কবিতার মাধ্যমে কবিতার মাধ্যমে কবিকে অভিনন্দিত করেছিলেন : “তব নব প্রভাতের রক্তরাগখানি মধ্যাহ্নে জাগায় যেন জ্যোতির্ময়ী বাণী।”
রবীন্দ্র-যুগের কবি গোলাম মোস্তফা যেমন রবীন্দ্র প্রভাব-বলয় থেকে মুক্ত ছিলেন না, পরবর্তীতে তার সমসাময়িক যুগ-গ্রষ্টা কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রভাবকেও তেমনি অস্বীকার করতে পারেননি। উভয় কবির প্রভাব সত্ত্বেও গোলাম মোস্তফা স্বকীয় বিনম্র ধারা নির্মাণে তৎপর ছিলেন। এখানেই তার যথার্থ সার্থকতা।
সংগঠনের সভাপতি মতিয়ারা চৌধুরী মিনু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, জাতীয় ছাত্রকেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, সংগঠনের সহ-সভাপতি মোক্তাদির হোসেন, হোসনে আরা বেগম, রিভা আক্তার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *