নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে হাতুরে গাইনী চিকিৎসক ফরিদা বেগমের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনসহ দুই শতাধিক এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বনপাড়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে একাত্নতা প্রকাশ করে হাতুরে চিকিৎসক ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ওই হাতুরে চিকিৎসকের আশ্রয়দাতা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ কুমার রায় অপসারণ দাবী করে বক্তব্য রাখেন বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, কাউন্সিলর দুলাল উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম।
মানব বন্ধন সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার গুড়–মশৈল গ্রামের ভ্যানচালক নুর আলমের স্ত্রীকে গত ১০ অক্টোবর নরমাল ডেলিভারীর জন্য বনপাড়া পাঠানপাড়া এলাকার জনৈক হাতুরে চিকিৎসক ফরিদা বেগমের কাছে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ফরিদা বেগম নরমাল ডেলিভারী করাতে গিয়ে কমপ্লিট টিআর (মলদ্বার ও মাসিকের দ্বার) ছিঁড়ে একত্র করে ফেলেন। পরে তার কাছে গেলে তিনি কোন সহযোগিতা না করে উল্টো হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
নুর আলম বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার স্ত্রী এখন মরণাপন্ন। তাকে সুস্থ করতে আমার সর্বশেষ সম্বল ৫ শতক জমি বিক্রি করে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছি। এখন আর কোন টাকা আমার হাতে নাই। এদিকে স্ত্রী বিনা চিকিৎসায় এখন মৃত্যু পথযাত্রী। আমি স্ত্রী’র সু-চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ দোষী ফরিদা বেগমের শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল উদ্দিন বলেন, এই দম্পতি আমার ওয়ার্ডে স্থায়ী বাসিন্দা। তারা খুবই গরীব মানুষ। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, আমি এই মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার রায় এবং ফরিদা বেগমকে অপসারণ করে দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
অভিযুক্ত ফরিদা বেগম বলেন, আমি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী। ডেলিভারীর সময় একটু সমস্যা হয়ই। পরে ঠিক হয়ে যায়। এ নিয়ে এতো মাথা গরম করার কিছু নাই।
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *