ইউসুফ আলমগীর, কুড়িগ্রাম
ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরি জেলায় দিনব্যাপি দুই দেশের ডিপুটি কমিশনার (ডিসি)- ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই সম্মেলন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। এ ছাড়াও রয়েছেন কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মো: মুহিবুল ইসলাম খান বিপিএম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি পরিচালক লে:কর্নেল মো: জামাল হোসাইন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাগফিরুল হাসান আব্বাসী, রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপÍরের উপ-পরিচালক মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সহকারী পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইঁয়া, ল্যান্ড রেকর্ডস সার্ভিস বিভাগের কানুনগো আব্দুল হক, সোনাহাট স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন সভাপতি সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল। অপরদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ধুবরি জেলা প্রশাসক আনন্ত লাল জ্ঞানী। এছাড়াও রয়েছেন পানবাড়ি মানকার চর জেলা প্রশাসক মোছা: আতিকা সুলতানা, বিএসএফ অধিনায়ক ললিত কুমার, ধুবরি পুলিশ সুপার ডিডি হাজারিকা, মানকারচর এসপি কাংকন জ্যোতি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, সীমান্ত অপরাধ, সীমান্ত পিলার নির্মাণ, পুন: নির্মাণ ও সংস্কার, সীমান্ত হাট, সোনাহাট স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন চালু , দুই দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও ক্রীড়া বিনিময় এবং দুই দেশের জেলে থাকা বন্দী বিনিময় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি সুত্রে জানা গেছে, আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আলোচনায় সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন বিষয়ে দুই দেশের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে দুই দেশের প্রতিনিধি দল ভারত অংশে সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। এরআগে রোববার কুড়িগ্রাম থেকে বাংলাদেশী প্রতিনিধি দল ধুবরি পৌছলে ধুবরি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। অতিথিদের আমন্ত্রনে নৈশ্য ভোজের পাশাপাশি ধুবরি সার্কিট হাউসে সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও অতিথিদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *