Sit-23-12-2015

এমদাদুল হক মন্টুঃ
ভুরুঙ্গামারীতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শীতবস্ত্রের দোকানে বেড়েছে ক্রেতা সাধারণের ভিড়। মানুষ ও পশুরা শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে একই বিছানায় আশ্রয় নিলেও সরকারীভাবে শীতবস্ত্র প্রদানের নেই কোন উদ্যোগ। জরুরী ভিত্তিতে গরীব অসহায় মানুষদের রক্ষার্থে শীত বস্ত্র প্রদানের দাবী করেছে সুধী মহল।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে উত্তরের ভুরুঙ্গামারীতে জেকে বসেছে শীত। ভুরুঙ্গামারীতে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০৯ দশমিক শূন্যতে উঠলেও সর্বোচ্চ তাপ কিছুটা নেমে গতকাল ঠেকেছিলো ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন। শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন নানা রোগে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। শীতের কবল থেকে বাঁচার জন্য গ্রামাঞ্চলের লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে গা গরম করছে। অনেকেই ইতোমধ্যে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ শীতজনিত নানাবিধ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এবার দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ল্য করা যাচ্ছে না।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ল্য করা যাচ্ছে। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতেও বেড়েছে কেনাকাটা। লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। ফলে ধুনূরীদের কাটছে ব্যস্ত সময়। বিক্রিও হচ্ছে মোটামুটি।
প্রতিবছর ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় শীত এলেই প্রায় প্রতি বছরেই শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসেন রাজনৈতিক, সামাজিক, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এবার প্রচন্ড শীতে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের যবুথবু অবস্থা হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। অনেকেই বলেছেন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসছে না কেউ। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আশপাশের এলাকার বেশিরভাগ মানুষই বসবাস করে দারিদ্র সীমার নিচে। ফলে শীতবস্ত্র কিনতে হিমসিম খেতে হয় তাদের। তাই প্রচন্ড শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষেরা। এই হতদরিদ্র মানুষেরা তাকিয়ে আছে শীতবস্ত্র কেউ বিতরণ করে কি-না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *