স্টাফ রিপোর্টার :

৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ ২৪ মার্চ শৈলকুপায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এসকল প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু এক সুন্দরী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম। তিনি পতিতা স্টাইলে নগ্ন পোষাক পরে মুখে ইচ্ছামত মেকাপ লাগিয়ে, লাল লিপস্টিক এবং বড় টিপ পরে ঘুড়া স্টাইলে চুল বেধে বগলকাটা ব্লাউজ আর কালো রংয়ের নেট জর্জেট শাড়ী পরে তলপেট আলগা করে বের হন ভোট চাইতে। দুর থেকে দেখলেই মনে হয় যেন কোন পর্ন স্টার আসছে। শরিরের বেশিরভাগ অংশ ও গোপন অঙ্গ পুরুষদের সামনে স্পষ্ট করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষেই হয়তো তিনি এ ধরনের সাজগোজ ও পোষাক পরিধান করে থাকেন। আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভোট চাওয়ার ছলে তিনি যুবকদের বুকে জড়িয়ে ধরছেন। যুবকদের হাত ধরে নিজের বগলকাটা ব্লাউজের নিচে নিয়ে স্তন স্পর্শ করিয়ে তাদের মনোরঞ্জন দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে একাধিক যুবক জানিয়েছে। অনেক উঠতি বয়সী যুবক এধরনের মনোরঞ্জনের নেশায় এখন তার পিছে পাগলের মত ছুটছে। আবার গভির রাতে কবিরপুর বাংলালিংক টাওয়ারের পাশে অবস্থিত তার ঘরের পেছন দরজা দিয়ে অনেক পুরুষ মানুষকে একে একে বের হতেও দেখা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ করে নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিরতিহীন চলছে।

যুব সমাজকে যৌনতার লালসায় ফেলে নির্বাচনী প্রচারনায় তাদেরকে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেই এ মিশন হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

শৈলকুপার যুব সমাজ এই মহিলা প্রার্থীর আবেদনময়ী অঙ্গভঙ্গির খপ্পরে পড়ে বিপথগামী হচ্ছে। তিনি মানসিকতা বুঝে পুরুষ ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ও তাদের পরিবারের ভোট হাতাতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে একাধিক লোক স্বীকার করেছে।

তার কবিরপুরের বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ ২/৩ জন অপরিচিত যুবতীকে থাকতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে আবার পরির্বতন করে অন্য যুবতীদের আনা হয়। তাদেরকেউ অশালীন পোষাক পরে বাড়ির পেছনের দরজা খুলে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কি হয় সে বাড়িতে, কেনইবা দিন-রাত তার বাড়িতে এত চেনা-অচেনা পুরুষ মানুষের আনাগোনা? এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখন পর্যন্ত কেউই দিতে পারেনি।

যদিও সুশীল সমাজ ও প্রবীণ শ্রেনীর মানুষ এ ধরনের নোংড়ামী পছন্দ করছেনা। তাই তাদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে তাদেরকে ভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে।

তাকে নিয়ে এক শ্রেনীর মানুষ অতি উৎসাহী হয়ে মাতামাতি করলেও উপজেলা জুড়ে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি দিনে মহিলা ভোটারদের কাছে বেশী গেলেও পুরুষ ভোটারদের কাছে রাতের আধারে যেতেই সাচ্ছন্দবোধ করেন।

আবার তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ঘোষনা করে নির্বাচনী প্রচারনা চালালেও প্রকৃতপক্ষে তার পরিবারের কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি বলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিগত পৌর নির্বাচনেও তিনি এ ধরনের নোংড়ামি করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়েছিল।

পৌর নির্বাচন পরবর্তী সে আলখেল্লা পোষাকে অফিস পাড়ায় প্রবেশ করায় অনেক প্রশাসনিক ও সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তারা বিব্রত অবস্থায় পড়তো।

কোন কর্মকর্তাকে অফিসে একা পেলে সুযোগ বুঝে ভেতরে প্রবেশ করতো সে, ফলে অনেক কর্মকর্তাই আত্মসম্মান বাঁচাতে বিভিন্ন বাহানায় রুম থেকে দ্রুত বেরিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতো।

যে কারনে পৌর কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও নোংড়ামির কারনে পৌরসভার কেউই তাকে মেনে নেয়না। ফলে সে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

বর্তমানে উপজেলার সাধারন মহিলা ভোটারদের দাবী সামাজিক অবক্ষয় রোধে এমন নোংড়া প্রার্থী যেন আর এলাকায় ভোট চাইতে বেরুতে না পারে।

এই প্রার্থীর নোংড়ামির বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সচেতন মহল এবং সাধারণ ভোটাররা।

তবে কর্তা ব্যক্তি ও সচেতন মহলের প্রশ্ন, এমন অযোগ্য ও অশিকিষত নোংড়া মহিলা যদি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা পরিষদের মসনদে বসে তাহলে জাতি ও সমাজ তার দ্বারা কি আশা করতে পারে?

যুবসমাজে তিনি সানি লিওনের উত্তরসূরী সেক্সিডল হিসেবে পরিচিত। যা তার ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করা অর্ধনগ্ন ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়।

অভিযুক্ত এই নারী প্রার্থীর দাবী, বর্তমান সমাজে মডার্ন না হলে মূল্যায়ন হয়না। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হলে অনেক কিছুই করতে হয়। ইতিমধ্যেই বিউটি পার্লার ও প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পাশাপাশি যুবসমাজ চাঙ্গা করতে তিনি জিমনেশিয়াম স্থাপন করেছেন।

আর মানুষের কাছ থেকে ভোট নিতে গেলে অনেক ত্যাগ শিকার করা লাগে। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *