এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি সরকারি প্রথমিক চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার একেবারেই কম। তিনজন শিক্ষকের স্থলে একজন শিক্ষক নামকা অস্তে ক্লাশ নিচ্ছেন। স্কুলের একটি গাছ কাটাহয়েছে প্রধান শিক্ষক তাজানেননা।
গতকাল শনিবার হোগলাবুনীয়া ২৩৮ নং দক্ষিণ বড় বাদুরা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় এ প্রতিবেদক গেলে তিনি দেখতে পান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা ৪র্থ শ্রেণির ৩ জন ও ৫ম শ্রেণির ৪ জন শিক্ষার্থীদের একটি কক্ষে বসিয়ে ক্লাশ নিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলে তিন জন শিক্ষক রয়েছে। একজন শিক্ষকের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি এক দিনের ছুটি নিয়ে খুলনায় ডাক্তার দেখাতে গেছেন। অপর শিক্ষক স্কুলে আসার পড়ে জানতে পারেন তার বাবা অসুস্থহয়েপড়েছে। সে আমার কাছে বলে বাড়িতে চলেগেছে। স্কুলে ঢুকতে একটি অর্জুন কটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছটি স্কুলের তবে কে বা কারা গাছটি কেটেছে তা আমি জানিনা। তিনি আরো বলেন, গাছটিতে শাপ বসবস করে বলে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছথেকে জানতে পেরেছেন। একারনে হয়তোবা স্থানীয় লোকজন গাছটি কাটতে পারে।
স্কুলটি ২০১৩ সালে রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সরকারি হওয়ার পরে ৯ বছর কেটেগেছে আজও সেই পুরনো রেজিঃ শব্দটি লেখা আছে। স্কুলটির প্রাক প্রথমিক কক্ষটি তালাদেয়া আছে। ওই কক্ষটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রাক প্রাথমিকের ক্লাশ নেয়া হয়না। স্বুলটির ৩ টি কক্ষ ব্যবহারের উপযোগি একটিতে অফিস কক্ষ অপর দুটি কক্ষে ক্লাশ নেয়া হয়। সে কক্ষ দুটির জানালা ভাঙ্গা রয়েছে। স্কুলটিতে মোট কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক জানান, ৫৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে থেকে আজকে ৪৫ জন উপস্থিত হয়েছিল। এ প্রতিবেদক ১৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত পেয়েছেন। এ প্রতিবেদক ৩ য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের পড়াশুনার মান নিয়ে কথাবলে জানতে পারেন, তাদের শিক্ষার মান খুবই খারাপ।
এ ব্যপারে ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রিপন চন্দ্র হালদার জানান, তিনি গাছ কাটার কথা শুনে ওই স্কুলে গিয়েছিলেন, তবে কে বা কাহারা ওই গাছটি কেটেছে তাহা কেহ বলতে পারেননি। গাছ কাটার ব্যপারে কোন অনুমতি দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাছ কাটার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়নি।
স্কুলের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, গাছ কাটার কথা শুনে তিনি স্কুলে গিয়ে গাছকাটা দেখতে পেয়েছেন তবে কে বা কারা গাছ কাঠছে তিনি জানতে পারেননি। ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন শিক্ষক উপস্থিত আছেন এব্যারে তিনি কিছু জানেননা বলে জানান।