রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয় মাঠে হাটু পানি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কোমলমতি শিক্ষাথর্ীরা। কখনো আবার হাটু পানিতে পিছলে পড়ে বই-খাতা ও পরনের পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। সপ্তাহ ব্যাপি পোহাতে হয় এই সমস্যা। এতে ব্যহত হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ । মাঠটি অতি সত্ত্বর উঁচু করণের দাবী করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসি। এঘটনা কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি। পরনের কাপর উপড়ে তুলে হাতে বই ও জুতা নিয়ে পারাপার হচ্ছে বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষাথর্ী। এসময় ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষাথর্ী রেবেকা খাতুন বলেন, বৃষ্টি হলে চরশৌমারী বাজারের সমস্ত পানি এসে এই বিদ্যালয় মাঠে হাটু পানিতে পরিণত হয়। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তি পোহাচ্ছি আমরা। এর কি আদৌ কোন সমাধান পাবনা? ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হানুফা বলেন, হাটুপানিতে পা পিছলে পড়ে অনেক সময় আমাদের বই খাতা ও পরনের পোষাক নষ্ট হয়ে যায়। ওই দিন আর ক্লাশ করা হয় না। একই কথা বলেন, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষাথর্ী অষ্টম শ্রেণীর রুপা খাতুন, স্বাধীন মিয়া, দশম শ্রেণীর রেহেনা খাতুন, রবিউল ইসলাম ও রানা মিয়া।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মহির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বহুবার বলেছি তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করছেন না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলেই এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেত কমলমতি শিক্ষাথর্ীরা।

প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ৮ জুন সকালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভা করা হয়েছে। সভায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র নির্দেশক্রমে আগামিকাল থেকে প্রাথমিক ভাবে পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে মর্মে রেজুলেশন করা হয়েছে। পরবর্তিতে স্থায়ী ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, পানি নিস্কাশনের বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নিবার্হী কর্মকর্তা আশরাফুল আলমকে অবগত করেছি। ওনারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক ভাবে মোটা পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন।

রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, প্রাথমিক ভাবে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *