বিশেষ প্রতিনিধি : মোঃখলিলুর রহমান

চট্রগ্রাম দোহাজারী-গুনদুম ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ চলতি অর্থবছরেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.ফিরোজ সালাহউদ্দিন।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩৮তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান রেল সচিব।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিরোজ সালাহউদ্দিন। বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলের মহাপরিচালক মো.আমজাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

দোহাজারী-গুনদুম ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, এখন প্রকল্পের মূল কাজ ঠিকাদার নিয়োগ করা। বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। খুব শিগগির কাজ শেষ হবে। এরপর এডিবির অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপরই চুক্তি স্বাক্ষর হবে। আশা করি চলতি অর্থবছরেই কাজ শুরু করতে পারবো। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব।

পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন ও বন্যপ্রাণী যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেভাবেই প্রকল্পের নকশা করা হয়েছে। কম মাটি কেটে এবং পরিবেশ ঠিক রেখে কীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় এজন্য পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

এর আগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে কেবল ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানই নয়, জনগণের পরিবহন মাধ্যম হিসেবে আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে।

দেহ ও মনকে প্রফুল্ল রাখতে ক্রীড়া একটি উপযুক্ত মাধ্যম উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে রেলে দক্ষ ক্রীড়াবিদরা ছিলেন, এমনকি জাতীয় দলেও খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থা নেই। তবে এখন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রেলকে এগিয়ে নিতে হলে মন থেকে ভালবেসে কাজ করতে হবে। আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তবে দেশের সব জেলায় রেল যোগাযোগ নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, একসময় রেলের খেলোয়াড়রা নৈপুণ্য দেখিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকা, জনবল সংকট ও ছাঁটাইয়ের কারণে সে ধারা অব্যাহত থাকেনি। তবে বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি অতীতের সেই ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসবে।

সভাপতির বক্তব্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো.আবদুল হাই বলেন, রেলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঐতিহ্যের ধারক। এ প্রতিযোগিতা রেলের দুই অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আই) কাজী রফিকুল আলম, মো.শামসুজ্জামান (আরএস), মো.হাবিবুর রহমান (অপারেশন), পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.খায়রুল আলম, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো.শহীদুল ইসলাম, প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী চন্দন কান্তি দাস, চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সরদার শাহাদাত আলী, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, চিফ কমান্ডেন্ট মো.আমিনুর রশিদ, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো.রমজান আলী, পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ডেন্ট মো.শাহ আলম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *