লালমনিরহাট প্রতিনিধি : জেলার আদিতমারী উপজেলার সরলখাঁ সরকারী প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বেহাল দশায় পরিনত হয়ে পড়েছে প্রধান শিক্ষকের নেই কোন ভুমিকা । এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী সহ শিক্ষার্থীদের। জানা গেছে, স্কুলের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকেই স্কুলের সমস্ত কাজকর্ম প্রধান শিক্ষক নিজেই তার মন মতো করে আসছে। স্কুলের পুরো মাঠ পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার শত শত মানুষ ও শিক্ষারর্থী
। দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলের মাঠ সংস্কার না হওয়ায় এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষকে। সরজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে পুরো মাঠ পানি ভর্তি হয়ে আছে নেই কোন পানি যাওয়ার রাস্তা। মাঠ প্রাঙ্গনে পড়ে আছে বালুর খামাল এসব প্রধান শিক্ষক রশিদুল আলম দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সামান্য বৃষ্টিতেই এক হাটু পানি জমে যায় স্কুল মাঠে । স্থানীয় আব্দার আলী বলেন , স্কুলের কোন নিয়ম শৃংখলা নেই নেই কোন কার্যক্রম। তিনি আরো বলেন, আমরা স্থানীয়রা এ বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বার বার বলেছি তিনি আমাদের কথার কোন গুরুত্বই দেয় নি। অথচ এই স্কুল মাঠ সংস্কার করার জন্য কয়েকবার বাজেট হয়েছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার হয়নি। একই এলাকার আতিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের মাঠে পরিবেশ থাকতে হবে কিন্তু পরিবেশ তো দুরের থাক এটা এখন রোয়া লাগানোর জমিতে পরিনত হয়েছে । আমরা স্কুল মাঠ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমাদের চলাচলের রাস্তার করুণ অবস্থা কিন্তু দেখার কেউ নেই। এলাকার শফিকুল ইসলাম , নামদার আলী ও রাবেয়া বেগম জানান, দীর্ঘদিনেও আমাদের যাতায়তের রাস্তা স্কুল মাঠটি উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়নি। তাই আমরা গ্রামবাসীরা নীজেই টাকা কালেকশন করে ট্রাকে করে মাটি এনে চলাচলের রাস্তা ভালো করছি। কারন এই স্কুল মাঠ দিয়েই আমাদের একমাত্র চলার পথ। আমরা এলাকাবাসী একাধিকবার প্রধান শিক্ষককে মাঠের বিষয়টি অবহিত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এদিকে আব্দার আলী আরো বলেন, মাঠটি সংস্কার হলে সর্বস্তরের মানুষ ও ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ সুগম হবে। স্থানীয়রা আরো জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে এই মাঠটি । বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়।
এবিষয়ে সরলখাঁ সরকারী প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রশিদুল আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এটা কাদা যে হচ্ছে গ্রামবাসীরা নীজের ইচ্ছায় করছে। কেন জানেন যত বৃষ্টি হয় বৃষ্টির পানি সবগুলোই পশ্চিম দিক দিয়ে চলে যায়। কিন্তু যতক্ষণ আমার স্কুল ততক্ষণ আমি থাকি তাছাড়া সব সময় এলাকাবাসী এ ব্যবহার করে। এখন আমি কি করবো ওরা যদি ওদের ভালো না বুঝে এখন ওরা দেখুক ওরা কি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *