,মোরশেদ মন্ডল সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহারে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য মানহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যার বেশিরভাগেরই নেই হালনাগাদ লাইসেন্স ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিনিয়তই এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিকে দালালীর শিকার হচ্ছেন অসংখ্য রোগী। এছাড়াও সাবর্ক্ষণিক ডাক্তার, নার্স ও টেকনোলজিস্ট নেই এসব ক্লিনিকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাপাহারে একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।এই হাসপাতালে সাধারণ রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। শুধুমাত্র অপারেশন থিয়েটার চালু না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে স্থানীয় ক্লিনিক ব্যাবসায়ী ও দালালরা।
বেশ কিছু ক্লিনিক মান সম্মত না হলেও সরকারী হাসপাতালের বেশ কিছু ডাক্তার এই ক্লিনিকগুলোতে সময় দিয়ে রোগী দেখছেন বলে জানা গেছে।
ক্লিনিকগুলোতে দক্ষ নার্স এবং সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভালো চিকিৎসক না থাকার ফলে ঘটছে রোগী মৃত্যুর প্রবণতা। এসব জেনেও সরকারি ডাক্তারগন কেন এসব ক্লিনিকে রোগী দেখছেন এমনটাই প্রশ্ন জনমনে।
উপজেলা সদরে অবস্থিত ক্লিনিকগুলো বেশিরভাগ মানহীন। শুধু তাই নয় ভৌত অবকাঠামোতে চালাচ্ছে ক্লিনিক ব্যাবসা।
এই উপজেলায় বুক ফুলিয়ে ক্লিনিক গড়ে উঠেছে ৮ টি আর ডায়াগনস্টিক সংখ্যা ১১ টি। তার মধ্যে বেশিরভাগ ক্লিনেকর নেই হালনাগাদ কোন সরকারি নিবন্ধন। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেন রমরমা ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে। নিজের ক্লিনিকের সাথে যোগ করেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার যাতে করে দিগুণ ব্যাবসা করছেন ক্লিনক মালিকেরা।
অনেক ভুক্তভোগী বলেন, অপারেশন করতে গেলে নানা রকম পরীক্ষা করতে বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এবং সেটা তার নিজের ক্লিনিকে করতে হবে মর্মে বলে দেওয়া হয। যাতে উদ্বৃত্ত টাকা খরচ হয় ২/৩ হাজার।
বর্তমানে এই ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা দ্রুত গ্রহন করা হোক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এমনটাই কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
বিষয়টি নিয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ রুহুল আমিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যদি কোন ক্লিনিকের অনিয়ম হয় তাহলে আমরা এসবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *