ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ঃ সারাদেশে ই,পি,আই পোর্টারদের দু:খ-কষ্টের সীমা নেই। ১৯৮৯ ইং সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধিনে অনিয়মিত শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জানাযায় সারাদেশে ৪৯১টি উপজেলা বিদ্যমান। আর প্রতিটি উপজেলায় ৫জন করে সারাদেশে প্রায় ১৫০০ পোর্টার শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের আনাছে-কানাছে,অজপাড়াগায় ও হাওরতীরবর্তী এলাকা সহ প্রতিটি নারী ও শিশুর জন্ম-মৃত্যুর স্বভাবিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে ই,পি,আই পোর্টারগণ ভ্যাকসিন সরবারহ করে এবং মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমানো, জনসংখ্যা ও জন্ম নিয়ন্ত্রন, যক্ষা কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রন, ডাইরিয়া, হাম, পোলিও মুক্ত করতে অবদান রেখেছেন। ইতিমধ্যে তারা দক্ষিন এশিয়ায় ই,পি,আই কাজে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। কিন্তু আঠারো বছর আগে ২২০০ শত টাকা ও পরে আন্দোলনের মাধ্যমে ৯৬০০ টাকা প্রতি মাসে উন্নিত হলেও এই পারিশ্রমিকে পরিবারের বরণ-পোষণ বহন করতে হিমশিমে পড়তে হয়। প্রতি মাসে এই বেতন গ্রহন করতে গিয়ে ৪/৫ মাস অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। আর প্রতিদিনের দ্রব্য মুল্যের অগ্রগতির কারণে দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে সন্তানদের পাঠ্যক্রম চালিয়ে যেতে অনেকে অক্ষম হয়ে পড়েছে। এরই পরিপেক্ষিতে ১৯৯৭ ইং সাল থেকে ‘অরাজনৈতিক ও কর্ম উন্নয়ন সংগঠন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় ই,পি,আর পোর্টার কল্যাণ সমিতি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তথাপি এখনও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কোন সূরাহা হয়নি। এই সমিতির ভূক্তভোগিরা পদবীর নাম পরিবর্তন, চাকুরী স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি সহ সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও কর্তৃপক্ষের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন। সমিতির কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি মো: বাবুল হোসেন তালুকদার জানান-বর্তমান সরকার জনবান্ধব। আমাদের দু:খ-কষ্টের কথা দীর্ঘ দিনের। তাই আমরা বিশ্বাস করি অচিরে এই সরকারের আমলেই তা সমাধান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *