:
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে সুদের টাকা সময় মত দিতে না পারায় লিলি বেগমকে ঘরে আটকে রেখে মোবাইলে ভিডিও ধারন ও শারিরীক নির্যাতনের করার অভিযোগ উঠেছে মোঃ আলতাফ হোসেন (৪৯) এর নামে।লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় গলায় ফাস দেন লিলি বেগম।পরিবারের লোকজনের তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে প্রানে বেঁচে যান তিনি।

লিলি বেগম কুড়িগ্রাম পৌর শহরের হাটির পাড় হিঙ্গনরায় গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী ফারুক হোসেন একজন বাসের হেলপার বলে জানা গেছে।তবে এমন অভিযোগ একই ঘটনা ঘটেছে রোজিনা ও বাবু নামের আরেক দম্পত্তির সাথে। তারাও আলতাফ হোসেনের কাছে সুদের উপর টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

শুক্রবার দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখায় লোক লজ্জায় রাতে অ়ভিমানে করে গলায় ফাস দেন ঐ গৃহবধূ।

লিলি বেগম জানান,আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা সুদের পর নিয়েছি।গত দু বছর ধরে সুদের টাকা সুদ সমেত নিয়মিত দিয়ে আসছি।গত ৪ মাস ধরে লাভ দিতে বিলম্ব হওয়ায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে ওই বাড়িতে যাই। পরে তারা টাকা নিয়ে আমাকে আলতাফ ও তার স্ত্রী বিলকিস ঘরে বেধে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে সেখানে জবান বন্দী নেয় আমি নাকি তিন লাখ টাকা সুদের উপর নিয়েছি।দুপুরের পর থেকে সন্ধা পর্যন্ত আমাকে ঘরে আটকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তারা।পরে লজ্জা ও ঘৃণায় গলাস ফাস নেই।আমার স্বামী বাসের হেলপার আমরা জীবনে কখনো একসাথে তিন লাখ টাকা চোখে দেখি নাই। ওরা জোড়পূর্বক আমার মুখ থেকে তিন লাখ টাকা নেওয়ার স্বীকাররোক্তির ভিডিও বানিয়ে আমাকে জিম্মি করেছে।আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।

আলতাফ হোসেন বলেন,আমার কাছ থেকে লিলি তিন লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা নেয়ার পর পরিশোধ করে নাই।উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।সরেজমিনে এসে দেখতে পারেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন,এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি জানা নেই, অভিযোগ দিয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *