mail.google

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রৌমারী উপজেলার সর্বত্রই এখন পানি আর পানি। রাস্তা ঘাট সব কিছুই ডুবে গেছে। শুক্র ও সোমবার রৌমারী সদরে হাটবার। এদিন সদরের পূর্বাঞ্চলীয় অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষ আসে নৌকাযোগে। এ সকল নৌকা যে জায়গাটিতে ভেড়ে তার নাম নটানপাড়া প্রাথমিক স্কুল মাঠ। শত শত নৌকা হাটের দিন ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই এখান থেকে সীমান্তবর্তী গ্রাম খাটিয়ামারী, নওদাপাড়া, চর বামনেরচর, নতুনবন্দর, বেহুলারচর, ব্যাপারিপাড়া, ভুন্দুরচরসহ অনেক গ্রামের মানুষ এ ঘাটেই নৌকা ভেড়ায়। এ ঘাটকে অবলম্বন করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী হোটেল, মুদি ও ঝালমুড়ির দোকান। ঝালমুড়ি বিক্রেতা মিছু মিয়া জানান, আমাদের দিন আনা দিন খাওয়া। বন্যা আসার পর রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে ঘাট হওয়ায় মুড়ি বিক্রি করে এখন আমার সংসার চলছে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও রাস্তা ঘাট রয়েছে ব্যাপক কাদাযুক্ত। চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ভেলা ও নৌকায় যাতায়াত করছে। বেশ কিছু গ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাবার স্যালাই সংকট। ভেসে গেছে সাড়ে ৪’শ পুকুরের পোনা মাছ। পাট, সবজি ও অন্যান্য আবাদের ক্ষতি ব্যাপক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজল হক জানান, এখনই ক্ষতির পরিমাণটা বলা যাচেছ না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *