কুষ্টিয়া সংবাদদাতাঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার অন্তগর্ত ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে স্বামী স্ত্রী মিলে বড় সতিন কে খুন করার ঘটনা ঘটেছে। মোঃ তিজারত মন্ডল (৪৫) পিতা মৃত পিয়ার মন্ডল, মোছাঃ আকলিমা খাতুন (৩০) মিলে তার বড় স্ত্রী মোছাঃ বেগম কে খুন করেন। গত সোমবার ঈদের দিন বিকাল ৫ টার দিকে তিজারত মন্ডলের সাথে তার বগ স্ত্রীর সাথে সাংসারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়, বেগম তার স্বামী কে উদ্দের্শ করে বলেন আমাদের সংসার সাধারনত পাখি ভ্যান চালিয়ে চলে। এতো টা অভাব অনাটন তোমার ২ টা মেয়েও আছে এবং ১ বছর হচ্ছে তুমি আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছো কথা টা বলতে না বলতেই তিজারত তার বড় স্ত্রী বেগমের উপার চড়া হয়ে মারতে শুরু করে এদিকে ঔ রাতেই তার ছোট স্ত্রী আকলিমার সাথে ফোনদি আটে যে তাকে ,মেরে ফেলে শান্তিতে ঘর সংসার করবো। সোমবার ঠিক তার ১ টার দিকে স্বামী ও ছোট স্ত্রী রাতে চুপিসারে বড় সতিনের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতুড়, সাবল, পাথর, ও বাশের লাঠি দিয়ে তার মাথায় ও বুকে আঘাত করে সাথে সাথে তার ঘাড়ের রগ ছিড়ে মাটিতে পড়ে যান এবং তার ঔ চেচামেচি শুনে বাড়ীর আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং রক্তাত্য অবস্থায় ঔ রাতে কুষ্টিয়া সদর হসপিটালে ভর্তি করে। পরে রুগির অবস্থা খারাফ দেখে ডাঃ তাকে রাজশাহি মেডিকেল কলেজে ভতি করে এবং মঙ্গলবার রাতে রাজশাহি মেডিকেলে মৃত্যু বরন করে। ইবি থানার সেকেন্ড অফিসার কমলেশ বাবুর অভিজানে ছোট স্ত্রী আকলিমাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তের করে। খুন তেজারক মন্ডল এখনো পলাতক রয়েছে। তবে এই ঘটনার ব্যপারে সাধারন লোকজন বলছেন তিজারতের বড় স্ত্রী বেগম খুবই ভালো ছিলেন, তিনি আজ ৩০ বছর ঘর সংসার করছেন, দুঃখ্য কষ্ট করে নিজে সেলাই মেশিন চালিয়ে দুই টা মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছেন। আমরা তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমরা এই দুই নরপশুর অবিলম্বে বিচার চায়। তবে এই ব্যপারে ইবি থানায় একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *