এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। মাঘ মাসের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৮৫০হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে বেশি ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা। গত বছর উন্নত জাতের সরিষার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছে।

গত কয়েকদিন উপজেলার দুহশুহ, ছাতিয়ানগড় ও চকরামপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সরিষার হলুদ ফুলে সেজেছে ফসলের মাঠ। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধানের উৎপাদন খরচ বেশি। প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ও আমন ধান আবাদে সেচ,সার,বীজ,কীটনাশক ও শ্রমিক মিলে আট থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু উৎপাদিত ধান বিক্রি করে তেমন লাভ থাকে না। অন্যদিকে প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে খরচ হয় তিন থেকে চার হাজার টাকার মত। আর ভালো ফলন হলে এক বিঘা জমি থেকে ৮-১০ মণ পর্যন্ত সরিষা পাওয়া য়ায়। প্রতি মণ সরিষার দাম ২০০০-২৫০০ টাকা।

ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক অলেকান্ত বলেন, আমন ধান কাটার পর জমিগুলো পড়ে থাকে তাই প্রতি বছর আমার জমিগুলোতে সরিষা চাষ করি। এবারও সরিষা চাষ করেছি। গাছ অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় জানান, তেল জাতীয় ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত আছে। এছাড়া সরিষা চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ বছর তারা বেশি জমিতে সরিষা চাষ করছেন। এতে এক জমিতে দুইয়ের বেশী ফসল চাষাবাদ করে কৃষকরা সফল হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *