রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) সংবাদদাতা ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে সাব-রেজিষ্টী অফিসের নকল নবিস মোস্তফার বিরুদ্বে দলিল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জমি দাতা ইসমাইল হোসেন(৬৫) ও গ্রহিতা রুমি বেগম(৪০) অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর দলিল লেখক মিজানুর রহমানের মাধ্যমে আমার ২য় স্ত্রী রুমি বেগম’র নামে ১ একর ৬৭ শতক জমির দানপত্র দেয়। যার দলিল নং ৭৬৯৪/১৪। দলিলটি উপজেলার দোশিয়া মৌজার জেএল নং-৬৬ দাগ নং ৩০৮,২৯৫,৩১৭,৩০৫,৩৭২,৩১২,৩১১,৩১৮,৩০৩ মোট ৯টি দাগের অন্তর্ভূক্ত। তৎকালীন সময়ে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রারের দায়িত্বে ছিলেন আমজাদ হোসেন। ১৭ডিসেম্বর/১৪ইং তারিখে উক্ত দলিলের নকল উঠানো হয়। সে দলিল মুলে একমাত্র রুমি বেগম জমি গ্রহিতা বলে প্রমান পাওয়া যায়। অফিসের নকল নবিস মোস্তফা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরবর্তীতে আমার ১ম স্ত্রীর ছেলে খয়রুলকে দলিল গ্রহিতার জায়গায় অন্তভর্ূূক্ত করে। বর্তমানে খয়রুল অহেতুক ভাবে ঐ দাগের জমিগুলো তার বলে দাবী করলে আমার মনে সন্দেহের দাগ কাটে। জমির মালিক হওয়ার কারণ জানতে চাইলে খয়রুল ১০/১২/২০১৪ ইং সালের দলিল দেখায়, যেখানে ইসমাইলের ২য় স্ত্রী রুমি বেগম এবং খয়রুল(৪৫)’র নাম দেখা যায়। অথচ ১৭ডিসেম্বর/১৪ইং তারিখে উঠানো দলিলে শুধু মাত্র রুমি বেগম একমাত্র দলিল গ্রহিতার সত্যতা মিলে। এ ঘটনা জানার পর ইসমাইল হোসেন ১ ফেব্রুয়ারী/২০১৭ইং তারিখে সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে মূল দলিল উঠাতে গেলে তাকে কেউ পাত্তা দেয় না বলে অভিযোগ করা হয়। ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করেন উল্লিখিত নকল নবিস বাধ্যতামূলক ভাবে তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। জমিটি দানপত্র না করে হেবা দলিল তৈরী করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে প্রতারক চক্র। জমি রেজিষ্ট্রি হওয়ার দিন দলিলের রশিদ না দিয়ে অনেক হয়রানির পর তা দিয়েছে। উল্লেখ্য প্রতারণার শিকার হয়ে ইসমাইল হোসেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বলে জানা যায়। বয়সের ভারাক্রান্ত ইসমাইল হোসেন’র সাথে বুধবার কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে প্রতারক চক্রের উপযুক্ত বিচারের জোর দাবি জানান। এ ব্যাপারে নকল নবিস মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বারংবার চেষ্টা করেও উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার দোস্ত মোহাম্মদ মুঠোফোন সচল না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *