কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিস থেকে টাকা ছাড় না করায় উপজেলার ১১টি সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত জুন মাসের বেতন ভাতা পাননি বলে জানা গেছে। যে বিভাগগুলো বেতন ভাতা পাননি তাদের মধ্যে রয়েছে, শিক্ষা , ভুমি ,পুলিশ,স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস,পৌরসভা,ঠিকাদারদের জামানত ইত্যাদী। সেনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম জানান, ৭দিন আগে বিল জমা দিয়েও আজও পাইনি। নাগেশ্বরী থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম চৌধরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নির্মলেন্দু রায় মানিক বলেন, নিয়মানুযায়ী মাসের ১/২তারিখে মাসিক বেতন পেতাম আজ ৮দিন পেরিয়ে গেলেও বেতন পাইনি ফলে গরীর কনেষ্টবল ও কর্মচারীরা খুবই অসুবিধায় পরেছে। ভিতরবন্দ পল্লিস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ আব্দুল জলিল জানান, বেতন না পাওয়ায় আমার অফিসের পিয়ন মহসীন আলীকে আজ ১হাজার টাকা ধার দিয়েছি। এলজিইডি ঠিকাদার শফিউল আলম জানান,জামানত ফেরৎ নিতে ট্রেজারী অফিসে গেলে হিসাব রক্ষন অফিসের অডিটর বলেন, ট্রেজারী বিভাগের সার্ভেয়ারে জটিলতা দেখা দেয়ায় জামানতসহ ১১টি সরকারী দপ্তরের টাকা ছাড় করা যাচ্ছে না। নাগেশ্বরী উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ছাইদুল হক বলেন, ২০১৮-১৯ চলতি অর্থবছরে মহাহিসাব রক্ষন বিভাগের ট্রেজারী সংক্রান্ত লেনদেন ১৩ডিজিটে করা হতো এবার তা পরিবর্তন করে ৫৬ডিজিট চালু করা হয়েছে । এ কারনে সার্ভেয়ারে সব বিভাগের কোর্ড আসছে না । সার্ভেয়ারের কাজ চলছে বিল নিতে কয়েকদিন দেরী করতে হবে। তবে অন্য একটি সুত্র জানায়, কিছু কিছু অফিসের তদবীরবাজরা কৌশলে বিল ছাড় করে নিয়ে যাচ্ছেন ।