হামার কুড়িগ্রাম হামার অহংকার
আসুন আমাদের ইতিহাস ঐতিয্য নিয়ে মাতি। আলোচনা করি। সংযোগ করি।
আমি বিশ্বাষ করি কোন একদিন কুড়িগ্রাম জেলা হবে ইতিহাসের নগরী। ৯ উপজেলাসহ দুটি জল থানা হবে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চল। ৪২০ টি চর, সোনাহাট সেতু, ২ টি স্থল বন্দর, ২টি মুক্তাঞ্চল, মুন্সি বাড়ী, চিলমারী বন্দরসহ আরও অনেক কিছু ছড়িয়ে আছে। আমরা যদি পরস্পরের ভাল কাজ গুলোকে সহযোগিতা বা সমথর্ন করি তবে দ্রুত হবে। প্রচ্ছদ, প্রগতি সংসদ, জাহাজ ঘড়, কাত্যায়নী ও ইওর প্রেস, বাজার কালীবাড়ী মন্দির, ভাওয়াইয়া গান, কছিমুদ্দিন ভাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এগুলো আমাদের সম্পদ। এজন্য তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে।
রৌমারী মুক্তাঞ্চলে ট্রেনিং সেন্টার, পোষ্ট অফিস, ফায়ারিং এসপট, রাজিবপুরে তারামন বিবি বাড়ীসহ, টোকরাইহাট আহাম্মদ হোসেন সরকার সাহেবের বাড়ীসহ ঐতিহাসিক স্থান গুলো সংরক্ষন করতে হবে।
জয়মনিহাট ও ভিতরবন্ধ জমিদার বাড়ী এখন যে অবস্থায় আছে সংরক্ষন করতে হবে।
এক সৈয়দ হককে নিয়ে কাজ করলে, সমাধি কমম্পেক্স গড়ে তুলতে পারলে আর কি লাগে। প্রতি বছর উনার জন্ম ও মৃত্য বাষিকীতে হাজার হাজার মানুষ আসবে। মেলা বসবে। গান, নাটকসহ সাহিত্যের আসর বসবে। আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে। তাকে পড়তে হবে জানতে হবে। মতে হবে।
ভুরুঙ্গামারি অনেক ঐতিহ্য ধারন করে আছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় পশ্চিম বাংলা এবং আসামের মধ্যে দুরত্ব কমাতে রেল ও সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলে। যা আজও অাছে। ভোটহাট থেকে সোনাহাট সড়ক সচল। রেল পথ আমরা দখল করে রেখেছি। অামি চাই কুড়িগ্রামে তৃতীয় স্থল বন্দর ভারতের পশ্চিম বাংলার সাথে ভুরুঙ্গামারী ভোটহাটে চালু হউক। রেল যোগাযোগ হউক। এগুলো সময়ের দাবী।
সম্প্রতি দেখে এলাম সোনাহাট স্থল বন্দরের পাশে ৫ শত বছরের পুরোন একটি মন্দিন, পাথরডুবিতে একটি মসজিদ। যেখানে ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের মানুষ নামাজ পড়েন। বেশ কয়েকটি বিলুপ্ত ছিটমহল, জয়মনিরহাটে শহীদ লে, ছামাদ এর সমাধি, ভারত বাংলাদের ট্রেন লাইন, ষ্টেশন, সোনাহাট বিল, নাগেশ্বরী পয়রাডাঙ্গা বিল, বদ্ধ ভূমি, বিলুপ্ত প্রায় মন্দির।
রাজারহাটে হাজার বছরের পুরোন মসজিদ আছে। সিন্দুমতি, পদ্ম বিল, ফুলবাড়ীতে ফুল সাগড়, বার মাসি নদী, বিলুপ্ত ছিট মহল দাশিয়ান ছড়া। ধরলা সেতু দুই পার, বিচিত্র বারমাসি নদী, নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ী,
চিলমারি অষ্টমির স্নানকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। দেশ বিদেমের লক্ষাধিক মানুষ আসে। স্নানকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ যায়। মেরা সাত করা হউক। মানুষের নিরাপত্তা, থাকার জায়গা, ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পয়.নিস্কামনের ব্যবস্থা করতে পারলে আর কিছু লাগবে না। তরুন বা স্থানীয় মানুষ মেলা উপলক্ষে ব্রক্ষপুত্র নদের পুব পাড়ে চরে খুব কম খরচে কাশিয়া বাঁশ দিয়ে ছোট বড় ঝুপড়ি ঘড় বা কটেজ বানিয়ে ভাড়া দিতে পারে। খাওযার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এতে স্নানে আসা পরিবার গুলো বা দেখতে আসা দশনাথীরা থাকবে। চর ঘুরে, জানবে। টাকা খরচ করে মেলায় কেনা কাটা করবে, টাকার ফ্লো আসবে। গান বাজনার আয়োজন করতে হবে। অথাৎ ৭ টা দিন পূণাথি ও দশনাথিরা যেন চরম নিরাপদ আনন্দ নিয়ে যেতে পারে। বারবার যেন আসে। অন্যকেও নিয়ে আসে। এসব নিয়ে প্রচুর প্রচার প্রচারনা চালাতে হবে।
লেখাতে অনেক কিছু বাদ গেল অজান্তে। আপনারা আরও সংযোগ, সমৃদ্ধ করে ছড়িয়ে দিন।
শেষে বলবো লালমনিরহাট এয়ারপোট চালু করা হউক। এটিও ঐতিহাসিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরী। লালমনিরহাট ষ্টেশন থেকে ট্রেন মোগলহাট হয়ে কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী সোনাহহাট হয়ে ভারতের ধুবরী গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন