ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্বামীর নির্যাতনে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানাগেছে, সোমবার বিকেলে ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড় গ্রামে গোলাপী বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধুর সাথে স্বামী কফিল উদ্দিন (২৮) এর ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে কফিল উদ্দিন অন্তঃসত্ত্বা গোলাপীকে শারীরিক নির্যাতন ও তল পেটে লাথি মারলে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বপন নামের স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসককে দিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গোলাপী বেগমকে সোমবার সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি থানা পুলিশ জানার পর নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে।
ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাঈমা হক রিফাত জানান, গোলাপী বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
উল্লেখ্য শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে গোলাপী বেগমের সাথে প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের আব্দুস ছামাদের পুত্র কফিল উদ্দিন (২৮) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপর দুটি সন্তান হলেও শৈশবেই মারা যায়। এ কারণে তাদের মধ্যে বনিবনা ছিল না।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা করা হবে।