এন,এইচ পারভেজঃ
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর পেড়িয়ে অবশেষে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনের নির্মাণ কাজ অনানুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে চিলমারীর বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধাগণ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু করায় উদ্বেলিত এবং উচ্ছস্বিত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার কমপ্লেক্সটির প্রথম পাইল ফাউন্ডেশসের কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান। এ সময় তার সাখে ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম , সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, সাবেক সংসদের কমান্ডার মোঃ আব্দুর রহিম, রণাঙ্গনের কমান্ডার আনছার আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম হায়দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলওয়ার আহমোদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ মফিজল হক প্রমুখ।

রণাঙ্গনের কমান্ডার আনছার আলী বলেন, কমপ্লেক্সটি নির্মাণের কাজ নিজের চোখে দেখে পাচ্ছেন, এ জন্য তিনি উচ্ছস্বিত এবং উদ্বেলিত,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিলন বলেন, সারা দেশে প্রায় উপজেলায় কমপ্লেক্সে হয়ে গেছে প্রায়। আমাদের চিলমারী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি দেরীতে হলেও হচ্ছে এ জন্য তিনি চিলমারীর সকল মুক্তি যোদ্ধারদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রীসহ সকল কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হায়দার তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আজ তাকে খুব ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই কমপ্লেক্সটি দেখতে পারবে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।

চিলমারী উপজেলা আ”লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,মিনহাজ বকসী ও মনজু সরদার মিলে তিনজন পর্টনার এই কমপ্লেক্সের ঠিকাদারীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা বলেন এই কাজটি করতে পারায় তারা নিজেদেরকে ধন্য মনে করছেন। তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান আজাদ জামান এ প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এ ই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান দাবি করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, তার চিলমারীতে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাক মপ্লেক্স ভবনটি তার তত্বাবধানে র্নিমিত হওয়ায় তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন। তিনি আরও জানান, ১১ শতক জমির উপর নির্মানাধীন এই কমপ্লেক্সের নিচ তলায় একটি মার্কেট হবে, দ্বিতীয় তলায় হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস, তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষ এবয় চতুর্থ তলায় রেষ্ট হাউস নির্মিত হবে। এই ভবনটি নির্মাণ করার জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে মর্মে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, আশাকরি চিলমারীতে মানসম্মত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। তিনি আরও বলেন, আজকে ভবনটির কার্যক্রম শুরু হলো মাত্র। আগামীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মাননীয় প্রাথমিক ও গণষশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি মহোদয় কমপ্লেক্স ভবনটির আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *