ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি/

ক্ষমতাধর চোরাকারবারীরা দেশের বিভিন্ন সীমানা দিয়ে বিশেষ করে ভারত ও মায়ানমার থেকে চোরাই পথে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিল, আফিম, আইস, এলএসডি, ডিএমটি, কোকেন, এনপিএস, ম্যাজিক মাশরুমসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ংকর মাদক আমদানি করে দেশের অভ্যন্তরে হাজার হাজার মাদকদ্রব্য বিক্রীর আখড়া গড়ে তুলেছে। মাদকদ্রব্য সহজপ্রাপ্য হওয়ায় যেখানে সেখানে বিশেষ করে বস্তি, পানের দোকান, চায়ের দোকান, মুদি-দোকান, ঔষধের দোকান, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, ওভার-ব্রিজ, আন্ডার-গ্রাউন্ড বাইপাসে অহরহ বিক্রি হচ্ছে। বাহন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিছু কুরিয়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, মানুষের পেট, সবজির গাড়ি, প্রাইভেট গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন। মাদক সেবনকারীদের অধিকাংশই তরুণ, গার্মেন্ট শ্রমিক, গাড়িচালক ও হেলপার এবং স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। ইদানিং চোরাচালানের সাথে জড়িত দরিদ্র শিশু ও মহিলারাও মাদকদ্রব্য সেবন করছে। মাদক সেবনে ড্রাইভারের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনহানী ঘটছে। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ, জাতির ভবিষ্যৎ। নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনের মতো কর্মকান্ড। চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে ভুগছে অভিভাবক মহল। নেশাগ্রস্থ সন্তানের এলোমেলো চলাফেরা, অসংলগ্ন কথাবার্তা পিতামাতা অভিভাবক মহল যখন বুঝতে পারে তখন আর কিছুই করার থাকে না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে সকল মাদক সম্রাটদের গ্রেফতারসহ মাদকবিরোধী অভিযানে র‍্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করে মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। র‍্যাবের মহাপরিচালকের দিক নির্দেশনায় র‍্যাব মাদকের বিরুদ্ধে গত (০৪ মে ২০১৮তারিখ) হতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যা মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকশ অপারেশনাল টিম কোম্পানী কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে (২২ মার্চ) ১টা ৩০ মিনিটে জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন সুগারমিল মিলনায়তন এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে (১৮৮পিস), ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট- (একটি) মোবাইল- (একটি) ভিডিও ক্যামেরা- নগত টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃ নাঈম (৩৫), জেলার রুপনগর বুলুপাড়া মৃত শফিউল্লাহ খানের ছেলে৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম দীর্ঘদিন যাবৎ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট অবৈধভাবে সংগ্রহপূর্বক জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের নিকট সরবরাহ করে আসছিল।
পরবর্তিতে আসামীর বিরুদ্ধে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *