বিপুল রায় -কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জে এক দোকানে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রাত ৯ঃ৩০ মিনিটের সময় রফিকুল ইসলাম ৪০/৫০ জনকে সঙ্গে নিয়ে দোকান চলাকালীন অবস্থায় দোকানীর উপর হামলা চালায় এবং কিন্তুির বইসহ ক্যাশের নগদ ৫০ হাজার টাকা চিনতাইয়েরও ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কালীগঞ্জে ইউনিয়নের লক্ষ্মণ চন্দ্র সরকারের দোকানে এই হামলা চালায়, হিন্দু কে মারো এটা বলে মানুষ কে উস্কে দিয়ে রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন,মকবুল হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় নুনখাওয়া ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছোট ছেলে রফিকুল ইসলাম কারেন্ট তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত দোকানদার লক্ষ্মণ চন্দ্র কে
দোষারোপ করেছেন উক্ত দোকানী তার না নেওয়া এবং সাক্ষী সহ প্রমাণ চাইলে গত ০৮-০৭-২০২৪ বিকেলে দোকানের উপরেই লক্ষন চন্দ্র কে মেরে কপাল ফাটিয়ে দিয়েছেন, পরবর্তীতে লক্ষন চন্দ্র রফিকুল কে আঘাত করেন। ঘটনার দুইদিন পরে গতকাল ১০-০৭-২০২৪ ইং রাতে মানুষ কে উস্কে দিয়ে পুরণায় হামলা চালায় এতে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা করে পরবর্তীতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রফিকুল ইসলামের গ্যাং পিছু নেয়।
বাজারের লোকজন এবং ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজন জানান একটা দোকান চলা অবস্থায় এভাবে হামলা দুঃখজনক বিষয় এতের কে গোপনে কে নির্দেশ দেও তাদেরকেও খুজে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা,বাজারের বাবলু সরকার বলেন আমি আটকাতে গেছি আমার উপরেও আঘাত করে , বাবলু সরকার সহ বেশ কয়েকজনের উপর তারা আঘাত করে, স্থানীয় সাংবাদিক বাঁধা দিতে গেলে তার হাতেও আঘাত করেছেন রফিকুল ইসলাম।
হামলাকারীরা হলেন নুনখাওয়ার সাহেবগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত মমতাজ আলী, আবুল হোসেন,মকবুল হোসেন সর্ব পিতাঃ মমতাজ আলী,সহ প্রায় ৫০ জন। স্থানীয় লোকজন বলছেন কালীগঞ্জ হুজুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলোচিত সেই সাহাবুল হোসাইন সাবুলের নির্দেশ এই হামলা হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।ঘটনার পরবর্তীতে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুুল ইসলাম জানান দোকানে হামলার সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।