কুড়িগ্রাম (উত্তর) প্রতিনিধি:
গ্রামবাসীরা যখন তারাবীর নামাজে তখনি এক শিক্ষক দম্পত্বির বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িতে তখন একমাত্র নারী সদস্য (শিক্ষিকা) ঘুমে বিভোর। আশেপাশে কোন লোকজনও ছিলোনা। আগুনের লেলিহান শিখা যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিলো তখন বিষয়টি একদল টহল পুলিশের নজরে আসে। সাথে সাথে পুলিশভ্যান থামিয়ে আগুন নিভানোর কাজে লেগে পড়ে টহল পুলিশের দলটি। পুলিশের চিৎকারে এগিয়ে আগে গ্রামবাসী। বাড়ির নারী সদস্যকে নিয়া হয় নিরাপদে। পড়ে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয় তারা। তবে পুড়ে যায় বসত বাড়ির একটি টিনের ঘর। তবে ক্ষতির হাত থেকে বেচে যায় পুরো বাড়ি।
আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে। কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে শাহিবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে। এসময় কচাকাটা থানার টহল পুলিশের একটি দল তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিভায়।
ওই প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবু তালেব জানান, তার ভাই বাড়িতে ছিলেন না আর ভাবি নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আগুন লাগার বিষয়টি কারো নজরে আসেনি। টহল পুলিশের দলটি আগুন দেখে এগিয়ে আসে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের হাক ডাকেই অন্যান্য লোকজন আসে এবং সবার সহযোগীতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। পুলিশের নজরে না আসলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা জানান, কচাকাটা থানার নিয়মিত টহলদল ওই এলাকায় ছিলো। বাড়িটিতে আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসলে টহল দলের সবাই তৎক্ষনাৎ আগুন নেভাতে নেমে পড়ে। বালি,পানি দিয়ে আগুন ভোনোর চেষ্টা করেন তারা। এসময় বাড়ির একমাত্র নারী সদস্য ও শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নেয়া হয়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এসময়ের মাঝেই ওই বসত বাড়ির একটি ঘর পুড়ে যায়। তবে বড় ধরণের ক্ষতির হাত থেকে বাড়িটিকে বাচানো সম্ভব হয়েছে। তিনি আরোও জানান, উপ পরিদর্শক রাবিউল ইসলামের নেতৃত্বে টহল টিমটিতে ৮জন পুলিশ সদস্য ছিলো।
ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *