মুর্শিদ আলম মুরাদ,লালমনিরহাট(আদিতমারী)
প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের, আদিতমারি উপজেলায় তৃনমুল আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।আদিতমারী উপজেলাধিন কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কিশামত চরিতাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রঙ্গনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ নভেম্বর বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের নেতা-কর্মিদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।তৃনমুল নেতা কর্মিদের উপস্থিতি যেন জনস্রোতে পরিনত হয়।উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি জনাব ইঞ্জিনিয়ার আবু তালেব,আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান জনাব, ফারুক ইমরুল কায়েস,ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তৃনমুল আওয়ামীলীগ ঘোষিত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কৃশ্নকান্ত রায় বিধুর, কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা তৃনমুল আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব, মাহমুদ ওমর চিশতী। কমলাবাড়ি ইউপি সদস্য জনাব, আব্দুর রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা নেতা কর্মিরা।তারা তাদের বক্তব্যর মাঝে বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, বিএনপি সত্রাসী বাহিনীর শকুন চক্ষু থেকে। তারা যে ভাবে অস্ত্রের মহরা দিয়েছে, এবং দলিও কার্যালয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়েছে যা একটি নেককার জনক ও ঘৃনিত ঘটনা।উল্লেখ্য যে, আদিতমারিতে গত ৮ ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন এ সম্মেলনে দলের সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ সামসুল ইসলাম সুরুজের কনিষ্ঠ পুত্র এবং আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস এর ছোট ভাই, কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক, মাহমুদ ওমর চিশতী।উক্ত সম্মেলনের শুরু থেকে রাত ১১ ঘটিকা পর্যন্ত সম্মেলনের মাঠ চিশতী সমর্থক নেতা কর্মিদের স্লোগানে মুখরিত ছিল।কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে জেলার নেতাদের সমন্বয় না হওয়ায়,অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে নেতারা লালমনির হাট সার্কিট হাউজে চলে যায়, সেখানেও রাতভর আলোচনা করেও যখন সমঝোতা না আসে তখন কেন্দ্রিয় নেতারা লালমনিরহাট ত্যাগ করেন। সেই দিন থেকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কমিটির ঘোষনা স্থগিত ছিল।কিন্তু গত ১৯ শে নভেম্বর শনিবার লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয় তিস্তা ব্যারেজ অবসরে। মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব, মোতাহার হোসেন (এমপি), সাধারন সম্পাদক জনাব,এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান,সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব,নুরুজ্জামান আহম্মেদ, জনাবা এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি সহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা।সেখানে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী কে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বিএনপি নেতার পুত্র রফিকুল আলমকে সাধারন সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিতর্কিত কমিটির অনুমোদন দেয়।

বিগত সময়ের বিএনপি নেতা কর্মিদের, আওয়ামীলীগের উপজেলা কমিটিতে পদ দিয়ে, মাসিক সভা থেকে এই পকেট কমিটি ঘোষানা করেন জেলার নেতা কর্মিরা।তারই প্রতিবাদে, ২০ নভেম্বর রবিবার বিকেলে আদিতমারী উপজেলা তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে, ঝাড়ু মিছিল সহ বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে দলিও কার্যালয়ের সামনে,তৃনমুল নেতা কর্মিদের প্রস্তাবে ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শ্রী কৃশ্ন কান্ত রায় বিধুর কে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মাহমুদ ওমর চিশতী কে সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করেন এবং যতদিন তাদের পকেট কমিটি বাতিল না হবে ততোদিন দলিও সকল কার্যক্রম তৃনমুল আওয়ামীলীগ পরিচালিত করবে এমন ঘোষনা করেন তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা।তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ নভেম্বর চিশতীর শান্তিপূর্ন সমাবেশে, বিএনপি নেতার ছেলে রফিকুল আলম এবং বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত সন্ত্রাসিরা দেশিও অস্ত্র রামদা নিয়ে হামলা চালায় এবং দলিও কার্যালয় সহ প্রধান মন্ত্রির ছবি ভাংচুর করেন।যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে । তারা দেশিও অস্ত্র নিয়ে বারবার মহরা দিয়েছে ।এতে তৃনমুল আওয়ামীলীগের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ জন্মনিয়েছে।নেতা কর্মিরা বলেন এর পরে বিতর্কিত কমিটি আদিতমারীতে আওয়ামীলীগের ব্যানারে রাজপথে নামার চেষ্ঠা করলে তাদের দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *