কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্থগিত কেন্দ্রে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাংচুর ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী ওই ইউনিয়নের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে তবকপুর ইউপি’র তবকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮ নং কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা করা হয়। পরবর্তীতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম মন্ডল রাজা রিক্সায় করে প্রচার মাইক ওই এলাকায় পাঠায়। প্রচার মাইকটি সরদারপাড়া রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে সন্ধ্যায় পৌঁছিলে নৌকা মার্কার সমর্থক ওই এলাকার আওলাদ হোসেন, জহুরুল, নজরুল ও নুর ইসলামসহ কয়েকজন মিলে রিক্সা চালকে হুমকি প্রদান করাসহ প্রচার মাইক ও রিক্সা ভাংচুর করেন।
এ খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তার ভাইকে ঘটনাস্থলে পাঠালে তাকেও হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেলের ট্যাংকিতে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ওই যুবকরা উচ্চস্বরে বলতে থাকে, এখানে নৌকা মার্কা ছাড়া কোন প্রচার-প্রচারণা করা চলবে না, মোটরসাইকেল প্রতীকের মাইকিং চলবে না।
মোটরসাইকেলের কোন লোক এলাকায় আসতে পারবে না। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী ওই ইউনিয়নের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন।
উলে­খ্য, স্থগিতকৃত তবকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ নং কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪শ ৮২। এই ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে ১হাজার ৪শ ৯২ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী।
তবকপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোখলেছুর রহমান জানান, আমার কোন সমর্থক মাইক ভাংচুরের ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমি এ ধরনের ঘটনা পছন্দ করি না। তারা নিজেরাই মাইক ও রিক্সা ভাংচুর করে আমার কর্মীদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।
তবকপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার, সে কারণে উলিপুর থানা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদনটি পাঠানো হয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির জানান, ঘটনাটি জেনেছি, তদন্ত চলছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *