হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক। আজ (২৮মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে এসে পৌছান। সেখানে বিশ্রাম ও দুপুরের খাবারের পর জেলা শহরের কাছে ধরলাব্রীজ পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত প্রস্তাবিত ভূটান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে  পৌঁছান তিনি। এখানে এসে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাজা। তিনি এলাকাটি একটু ঘুরে দেখেন এবং সবার সাথে ছবি তোলেন। জোন এলাকাটি তার পছন্দ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি ইকোনোমিক জোন এলাকায় এগ্রোবেজড ও মেনুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনার রয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন। জোন এলাকায় তিনি ১টা ৩৫মিনিট অবস্থানের পর সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে সফরকারী দলসহ সড়ক পথে যাত্রা শুরু করেন। 

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী  চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ  সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ  মোঃ মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রাজা জিগমে খেসার ওয়াংচুক জানান, জায়গাটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আমি কাজ শুরুর সময় আবার কুড়িগ্রামে আসবো। এরপর পৌনে ৩টার দিকে তিনি সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় যান। সেখানে ২০মিনিট অবস্থানের পর তিনি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্চ দিয়ে ভূটানের উদ্দেশ্যে ভারতে প্রবেশ করেন।
রাজার সফর শেষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তপক্ষ (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন পরে সাংবাদিকদের জানান, উনি সন্তষ্ট। জায়গা দেখেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখেছেন। সবকিছু মিলে উনি সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখানে কি ধরণের কার্যক্রম হতে পারে সে বিষয়ে রাজা জানিয়েছেন এখানকার লোকাল লোকজনের কি ধরণের চাহিদা রয়েছে এবং ভুটানের বিনিয়োগকারী লোকজনের কি চাহিদা রয়েছে সবকিছু মিলিয়ে ভিজিবিলিটি স্টাডি চেক করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে তার উপর ভিত্তি করে এখানে কি ধরণের ইন্ডাস্ট্রিজ হবে তা নির্ধারণ করা হবে। তবে এগ্রোবেজড ও মেনুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা: হামিদুল ইসলাম জানান, এই সফরের মধ্যদিয়ে অনুন্নত কুড়িগ্রাম উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। ২০১৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক জোনের জন্য জায়গা খুঁজতে বলেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা সফলতার মুখ দেখছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এলাকার বেকার মানুষ কাজ পাবে। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে পিছিয়ে পরা এই জেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *