নাজমুল হুদা পারভেজ:
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মোছাঃ সালমা আক্তার নামক একজন বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে ভুলবশত বিজ্ঞান বিভাগের পরিবর্তে মানবিক বিভাগ উল্লেখ থাকায় তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পরেছিল। বিষয়টি জ্ঞাত হবার পর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে ১৩ ঘন্টার মধ্যে ভুল সংশোধন পূর্বক সালমা পরীক্ষা দিতে পারছে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ইং সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। মোছাঃ সালমা আক্তার চিলমারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করার কথা। প্রবেশ পত্র ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড উত্তোলনের পর তাতে দেখতে পায় তার প্রবেশ পত্রটি মানবিক শাখার পরীক্ষার্থী হিসেবে এসেছে। এ অবস্থা দেখে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিক ইকবাল লেলিনকে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চায়। প্রধান শিক্ষক সালমাকে বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়ে আস্বস্ত করে যে, বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা শুরু হবার পূর্বেই প্রবেশ পত্রের ভুল সংশোধন করে আনবে বোর্ড থেকে। কিন্ত ১৪ মে তারিখে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা দিনক্ষন এগিয়ে এলেও তা সংশোধন করা হয়নি। ১৩ মে ২০২৩ ইং মেয়ের পরীক্ষা দেয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সালমার পিতা মেয়েকে নিয়ে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম আশেক (আঁকা) এর নিকট গেলে, তিনি বিষয়টি ১৩ মে রাত ৯টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাটি রাতে জ্ঞাত হন। যখন তিনি জ্ঞাত হন, তখন থেকে ১৩ ঘন্টা পর সালমা আক্তারের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা হবার কথা। নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত বিষয়টি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসককে জানান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ সমস্যাটি জ্ঞাত হবার পর ১৩ ঘন্টার মধ্যেই দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংগে যোগাযোগ করে কাগজপত্রের ভুল সংশোধন পূর্বক সালমা আক্তারকে ১৪ মে ২০২৩ ইং তারিখের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দেবার সুযোগ করে দেন। ১৫ মে কোন পরীক্ষা নেই। এখন থেকে যথানিয়মে সালমা আক্তার অন্যান্য পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে। দীর্ঘ অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পরীক্ষা দিতে পারায় সালমা আক্তার ভীষণ খুশি। তিনি তার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার ও বিশেষ করে জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়, আমি পরীক্ষা দেবার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভাবতেই পারিনি ডিসি সাহেব এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাকে পরীক্ষাদানের সুযোগ করে দিবেন।

Parvez

By Parvez

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *