কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষা নীতিমালা অমান্য করে ১৯৯৮খ্রিঃ বিপিএড সনদ বিহীন সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে শরীফুল আলম চিশতীর যোগদানের বিরুদ্ধে স্থানীয় নজরুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিযোগ তদন্ত করে বিপিএড সনদ বিহীন শরীরচর্চা শিক্ষক পদে যোগদান প্রমানিত হলে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে।

অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অভিযুক্ত শিক্ষক শরীফুল আলম চিশতী প্রভাব খাটিয়ে নিজ পদে বহাল থাকার পায়তারা করছেন। অবশ্য এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা অমান্য করে ৫অক্টোবর ১৯৯৮খ্রিঃ বিপিএড সনদ বিহীন সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে কৃষ্ণমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করেন শরীফুল আলম চিশতী। এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে। উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিযোগ তদন্ত করে বিপিএড সনদ বিহীন শরীরচর্চা শিক্ষক পদে যোগদান প্রমানিত হলে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত যে, ৫অক্টোবর ১৯৯৮খ্রিঃ বিপিএড সনদ বিহীন সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে যোগদান করেন শরীফুল আলম চিশতী। অবশেষে সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদ রক্ষার্থে গোবিন্দগঞ্জ সাফিয়া-আছাব বিপিএড এন্ড গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান কলেজ থেকে ২০০৬খ্রিঃ বিপিএড সনদ আনেন।

অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক শরীফুল আলম চিশতী বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আমাকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে বিপিএড সনদ বিহীন শরীরচর্চা শিক্ষক পদে শরীফুল আলম চিশতীর যোগদান প্রমানিত হলে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *