লাভলী আক্তার কেন্দুয়া নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের দুরচাপুর গ্রামের তারা মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনায় বনের খেরে আগুন দিয়ে পুরিয়ে দিয়েছে পাশ্ববর্তী বাড়ীর লাইনুর হাদিছ ও মল্লিক গংরা।
গ্রামের লোকজন ছুটে না এলে বসত ঘর সহ সকল ঘর পুরে ছারখার হয়ে যেত বলে জানান তারা মিয়া।

আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় এক মাস পূর্বে তারা মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়াকে এলোপাথাড়ি পিঠিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে লাইনুর,হাদিছ ও মল্লিক গংরা।

দুলাল মিয়া বলেন লাইনুর, হাদিছ গংদের হাত থেকে বাচার জন্য নিরুপায় হয়ে আমি বাড়ী ছাড়া। আমার পরিবারও নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে।
এ বিষয়ে দুলাল মিয়া আরও বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি সেচ লাইন চালিয়ে আসছিলাম।কিন্তু পাশ্ববর্তী বাড়ীর লাইনুর,হাদিছ ও মল্লিক গংরা তা মেনে নিতে পারছিল না।তা নিয়ে আমার সঙ্গে তাদের শুক্রতা সৃষ্টি হয়।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে আমি উক্ত সেচ লাইন থেকে পাশ্ববর্তী গ্রাম বাঘবেরের জমিতে পানি দিতে পারব না।তাদের কথা মত আমি আমার নিজ জমিতে সেচ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। তাও মেনে নিতে না পেরে প্রায় ১ সপ্তাহ আগে রাতের আধারে আমার মটারটি চুরি করে নিয়ে যায়।
দুলাল মিয়া জানান,বনের খের আর মটার মিলে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এ বিষয়ে সান্দিকোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,দুরচাপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি বলেন দুলাল মিয়াকে লাইনুর গংরা চর ঘুষি মেরে ছিল, কিন্তু দুলাল মিয়া পরবর্তীতে তার লোকজন নিয়ে লাইনুর ও হাদিছ মিয়াকে মারধর করেছে।এর বেশি কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলী হোসে্ন পিপিএম বলেন,এস আই শফিউল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *