বিশেষ প্রতিনিধিঃ

২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ০৩টায় ২০১৮ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪বছরে শুদ্ধাচার পুরষ্কারপ্রাপ্ত রংপুর বিভাগের ৩৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মাহিগঞ্জ, রংপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরষ্কারপ্রাপ্তদের হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন আনসার ও ভিডিপি রংপুর রেঞ্জের পরিচালক মোঃ আব্দুস সামাদ, পিভিএমএস। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন “২০২১-২২ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মসূচীতে সকল রেঞ্জের মধ্যে রংপুর রেঞ্জ শ্রেষ্ঠ ট্রফি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রেঞ্জের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একনিষ্ঠ কর্মদক্ষতার কারণে এই পুরষ্কার পাওয়া সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো প্রতিযোগীতামূলক ভাল কাজ করে আমরা প্রতিবারই সারাদেশে রংপুর রেঞ্জকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে চাই, সেই লক্ষ্যে সকলকে কাজ করতে হবে”।

 ২০২২ সালে কুড়িগ্রাম হতে জেলা আনসার ও ভিডিপি’র হিসাবরক্ষক গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা শুদ্ধাচার পুরষ্কার পান। বর্তমান কুড়িগ্রাম সদরের উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন ২০২১ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা হতে শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রাপ্ত হন। এছাড়াও ২০১৯ সালে কুড়িগ্রাম জেলা আনসার ও ভিডিপি দপ্তরের নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ তাছির উদ্দিন উক্ত পুরষ্কার পান। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে রংপুর বিভাগ হতে ১০জন; ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ২জন এবং ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২২ জন উক্ত পুরষ্কার পান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১১ আনসার ব্যাটালিয়ন, হিলি, দিনাজপুরের পরিচালক মোঃ ইয়াছিন আরাফাত; ০১ আনসার ব্যাটালিয়ন, ঠাকুরগাঁওয়ের পরিচালক ড. লুৎফর রহমান; ২৮ আনসার ব্যাটালিয়ন, লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক মোঃ ময়নুল ইসলাম;  নীলফামারী জেলার আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট হাফিজ আল মোয়াম্মাদ গাদ্দাফী; দিনাজপুরের আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট  মোঃ হাছান আলী; ঠাকুরগাঁওয়ের আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট  মোঃ মিনহাজ আরিফিন; পঞ্চগড় আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট  মোঃ শফিউল আযম; গাইবান্ধার আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট (চলতি দায়িত্ব) মোঃ রেজাউল ইসলাম; কুড়িগ্রাম আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট (চলতি দায়িত্ব) মোঃ ইবনুল হকসহ বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার, পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, দাপ্তরিক কাজে দক্ষতা ও আগ্রহ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে শুদ্ধাচার পুরষ্কারের জন্য মনোয়ন প্রদান করা হয়। এছাড়াও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা প্রায় দশ ধরে মাদক বিরোধী লিফলেট বিতরণসহ প্রচার-প্রচারণা, ইভটিজিং প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণসহ প্রচার প্রচারণা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় লিফলেট বিতরণসহ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি অত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সমাবেশ, অপারেশনাল ও বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম স্থানীয় পত্রিকা, আঞ্চলিক পত্রিকা, জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বাহিনীর প্রতিরোধ পত্রিকায় লেখালেখির ব্যাপক প্রচার করে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *