চিলমারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা তথ্য ও সেবা কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করলেও অফিসটির কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী প্রতিমাসে ৭/৮ দিন অফিস করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয় এর আওতায় উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের অধীনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের মতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) চালু করা হয়। যা তথ্য আপা নামে পরিচিত। ওই প্রকল্পের অধিনে উঠান বৈঠক, বিনা খরচে চাকরিরসহ বিভিন্ন আবেদন, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সুবিধা পান মহিলারা।
কিন্তু সেবা নিতে আসা বিভিন্ন এলাকার মহিলারা জানান, সেবা নিতে দপ্তরে আসলেও কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে তারা কোন সেবা পাচ্ছেন না। তবে সাময়িক কিছু সেবা দিচ্ছেন অফিস সহায়ক মো. রাজু মিয়া।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা তথ্য ও সেবা (ভার.) কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার ও অফিস সহকারী হাফিজা আক্তার বাড়িতে বসে কাগজে কলমে মহিলাদের তালিকা সংগ্রহ করে তা সেবা প্রদান হিসাবে চালিয়ে দিচ্ছেন।
বিভিন্ন সময়ে সেবা গ্রহীতাদের এমন একটি তালিকাভুক্তদের সাথে কথা হলে তারা তথ্য আপার কাছ থেকে কোন সেবা পাননি বলে জানান। নয়ারহাট ইউনিয়নের আয়শা বেগম, অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাটিয়ারচরের মল্লিকা বেগম, সহিতন বেগম বলেন, তথ্য আপা কী কী সেবা দেন সেটিও আমাদের জানা নাই।
বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় তথ্য সেবা অফিসে গিয়ে শুধু অফিস সহায়ক রাজু মিয়া ছাড়া কোন কর্মকর্তাকেই উপস্থিত পাওয়া যায়নি। তথ্য সেবা কর্মকর্তা (ভার.) মোসুমী আক্তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়েছেন বলে মুঠোফোনে জানালেও অফিস সহকারী হাফিজা আক্তার মাঠে রয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে তিনি কোথায় কোন এলাকায় আছেন তা বলতে রাজি নন।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তথ্য সেবা কর্মকর্তাদের গাফলাতির কারণে সরকারি মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার বৃহষ্পতিবার (২ ডিসেম্বর) কোন ছুটি নেননি বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *