স্টাফ রির্পোটার ॥ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য দাপুনিয়া গ্রামে ছাগলে খেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে ৩জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতের পিতা মো: জামাল উদ্দিন জানান, মধ্য দাপুনিয়া এলাকার বাসিন্ধা ইসলাম, আ: মালেক, মো: মনির, জাকির হোসেন, আওয়াল, সিরাজুল ইসলাম, কাউসার সহ আরো ৪/৫ জন হামলা চালিয়ে আশরাফুল ইসলাম সহ ২/৩জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এলাকার ইসলামের ছাগল আমার জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে তারা এ হামলা চালায়। ১৫ মে রাত আনুমানিক ১ টার সময় ইসলাম, আ: মালেক, মো: মনির, জাকির হোসেন, আওয়াল, সিরাজুল ইসলাম, কাউসার সহ আরো ৪/৫ জন রামদা, দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠিসোঠা সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মধ্য দাপুনিয়াস্থ আমার বাড়ীতে হামলা করে। এসময় তারা আমার বড় ছেলে আশরাফুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় আমার ছেলে তাদের গালাগাল করতে নিষেধ করলে একই এলাকার আ: মালেকের হুকুমে ইসলাম রামদা দিয়ে আশরাফুল ইসলামের মাথায় কুপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। কুপ খেয়ে আশরাফুল মাটিতে পরে গেলে আ: মালেক ও সিরাজুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত, পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করে। এসময় আমার স্ত্রী রানী বেগম এগিয়ে এলে জাকির হোসেন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। হামলাকারী মনির আমার স্ত্রীর মুখে, নাকে এলাপাথারী কিল ঘুষি মেরে জখম করে। এ সময় আমার ছেলে কামরুল হাসান এগিয়ে এলে আওয়াল ও কাওসার সহ অন্যন্যরা বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার ছেলের হাত,পা, সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। তখন আমার ২ ছেলে ও স্ত্রীর ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমার ছেলে ও স্ত্রীকে হুমকী দিয়ে যায় সময় সুযোগ পেলে তাদের খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে আশরাফুল ইসলাম, কামরুল হাসান ও আমার স্ত্রী রানী বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আমার বড় ছেলেকে ৭নং ওয়ার্ডে ভতি করেন এবং আমার অন্য ছেলে ও স্ত্রীকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা প্রদান করেন। পরবর্তীতে আমার বড় ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার বড় ছেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৪৬, তারিখ-১৬/৫/২০ইং। মো: জামাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতে প্রভাবশালী মহলের চাপ প্রয়োগ করছে বলেও তিনি দাবী করেন। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে তারা যে কোন সময় তিনি বা তার পরিবারকে হত্যা করে গুম করে ফেলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *