জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
জুড়ীর জায়ফর নগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেন মনিরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বড় ভাই মখদ্দছ আলী মখন।
আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মখদ্দছ আলী মখন বলেন,জাকির হোসেন মনির আমার সৎ ভাই। সে ছোটবেলা থেকে বাড়িতে না থেকে বিভিন্ন জায়গায় থাকত।কয়েক বছর আগে আমি সহযোগিতা করে তাকে বাড়িতে জায়গা করে দেই।
আমার জায়গা থেকে জোরপূর্বক গাছ কেটে নিতে চাইলে আমি তাকে বাধা দেই।তারপর থেকে আমার অপর ভাই আরজমন এর সহযোগিতায় আমার পরিবারের সদস্যদের উপর বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়।জাকির মনিরের মায়ের হাত বাথরুমে পড়ে ভেঙ্গে গেলে সে আমার ছেলেদের উপর কোর্টে মামলা করেছে আমরা নাকি তার ঘর চুরি,ডাকাতি করে তার মায়ের হাত ভেঙ্গে দিয়েছি।পাশাপাশি আমাদের বাড়ির পাশ্ববর্তী মাসুক মিয়া গরু চড়াতে গিয়ে তার হাতের আঙ্গুল কেটে গেলে জাকির মনিরের পরোচনায় আমি সহ আমার ছেলে মেয়েদের উপর মামলা করে।পরবর্তীতে জুড়ী থানা পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত না করে জাকির মনিরের কথামত আমাদের বিরুদ্ধে কোর্টে রিপোর্ট দিলে আমরা আদালতের শরনাপন্ন হই।মাননীয় আদালত আমার ছেলে লোকমানের জামিন না মন্জুর করে জেলে পাটিয়ে দেন।এই দুই মামলায় আমার ছেলে জুড়ী কলেজের ছাত্র ইকবালকে ও আসামী করা হয়।জাকির মনির চতুর,বুদ্ধিমান হওয়ার কারনে প্রশাসন তার কথায় চলে।আমরা এসপি,ওসি সাহেব কে সব কিছু বলার পর ও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।
৭১ বছর বয়স্ক এ বৃদ্ধ আক্ষেপ করে বলেন, আমি তাকে জায়গা দেওয়ার কারনে সে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির মাধ্যমে প্রতিদান দিচ্ছে,এ বয়সে অসুস্থতার কারনে কোর্টের ৪ তলায় উটতে ও পারি না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেল হাজতে থাকা লোকমান আহমদের কন্যা একাদ্বশ শ্রেণীর ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মখদ্দছ আলী মখন মামলার বাদী মাসুক আহমদের মায়ের একটি ভিডিও দেন,সেখানে মাসুক আহমদের বৃদ্ধ মাকে বলতে শোনা যায়,আমার ছেলের আঙুল গরুর রশিতে কেটে গেছে।কোর্টে যাওয়া লাগলে ও আমি সেখানে গিয়ে সে কথা বলবো।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনির জানান,বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করবো না তবে আমাকে নিয়ে কেউ অপ্রাসঙ্গিক কিছু বললে সাইবার আইনে মামলা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *