জুড়ী উপজেলা পরিষদের সাটঁ মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ শাহিন আহমদ(৩৭) সহ ৩ জন করোনা ভাইরাসে( কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন।তারা বর্তমানে হোম আইসোলেশনে মেডিকেলের ছাড়পত্র অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্হ হচ্ছেন।জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রাম নিবাসী কোভিড -১৯ পজিটিভ মোহাম্মদ শাহিন আহমদ এর গত ৫ ই আগষ্ট থেকে জ্বর,কাঁশি ও কিছুটা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্হানীয় ২/৩ জন চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করিলে তার অবস্হার অবনতি হয়।গত ৯ ই আগষ্ট জুড়ী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পুল দিলে ১৫ ই আগষ্ট প্রথমে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তার কাঁশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ১৪ ই আগষ্ট শুক্রবার সকালে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইয়োলো জোনে স্থানান্তর করেন।সেখানে গত ১৫ ই আগষ্ট ২০২০ইং তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৭ ই আগষ্ট ‘২০ ইং দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় দিলে ঐ দিন রাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের রিপোর্টে পজেটিভ হওয়ায় ১৮ ই আগষ্ট সকালে তার বাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ লকডাউন করে। এ সময় উপস্হিত ছিলেন স্বাস্থ্য সহকারী দিপংকর যাদব রানা। ছাড়পত্র পেয়ে তিনি বাড়ীতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে এবং তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাড়পত্র অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া ও জুড়ীতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল ২০ আগষ্ট উপজেলার পঃজুড়ী ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রাম নিবাসী একই পরিবারের পিতা পুত্র দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন।তাদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও একজন পেশায় ছাত্র। গত কয়েকদিন থেকে জ্বর, কাশি অনুভব করায় ১৮ ই আগষ্ট তারা স্যাম্পুল দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *