ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি ঃ

আমার আব্বার ৪ ভাই পেশায় তারা সবাই ছিল মানুষ গড়ার কারিগর অর্থাৎ শিক্ষক। জন্মদাতাদের পেশার প্রতি সম্মান জানাতেই নাম দিয়েছি মাস্টার ডেইরী ফার্ম এন্ড এগ্রো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে উচ্চত্বর ডিগ্রী অর্জন শেষে ঢাকায় বে-সরকারি একটি কোম্পাণীতে চাকুরীও করেছি কিছুদিন। নিজের মেধাশক্তি ও শারীরিক পরিশ্রমে অন্যকে লাভবান না করে নিজেই লাভবান ও অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কোম্পাণীর চাকুরী ছেড়ে গরুর ফার্ম করেছি এমন কথা বলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মহসিন আলী মাষ্টারের ছেলে গোলাম মোক্তাদির রাব্বী। তবে তিনি অন্যের র্ফাম দেখেই চাকুরী ছেড়ে একাজে নিজেকে জড়িত করেন।
২ বিঘা জমির উপর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাব্বী মাষ্টার ডেইরী ফার্ম (সেড) করেছেন। তার র্ফামে বর্তমানে বিদেশী জাতের ৩০-৩৫টি গাভী এবং ছোট-বড় মোট ৭০টি গরু আছে এসবের ক্রয়মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ১৮টি গাভী প্রতিদিন গড়ে ২’শ লিটার দুধ দেয় এবং অনেক গাভী মা হতে চলেছে। এ র্ফামের দুধ এখন উপজেলা ও জেলা শহরের নামকরা মিষ্টির কারখানায় সরবরাহ হচ্ছে। খইল, ভুষি, খড় ও ঔষধসহ প্রতিদিন গরুর পিছনে যত টাকা খরচ হয় সে তুলনায় দুধ বিক্রয় করে লাভ হয় না। গরুর গোবর নিজের জমিতে জৈব সার হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি অতিরিক্ত অন্যের নিকট বিক্রয় করে আয় হয়। র্ফামের গরু দেখভাল, মেশিনে গাভীর দুধ নিঃর্গত, র্ফাম পরিস্কারসহ অন্যান্ন কাজের জন্য পালাক্রমে ৮-১০ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছেন। র্ফামে কর্মরত শ্রমিক জাহাঙ্গীর বলেন, আমার মত আরো ১০ জন লোক এখানে কাজ করি। আদিবাসী যুবক দিলীপ কুমার বলেন, এখানে কাজ করে আমাদের সবার সংসার ভালোই চলে।
শিক্ষিত যুবক রাব্বী বলেন, ফার্ম থেকে এখনো তেমন উল্লেখযোগ্য লাভ আসেনি। আগামী ৬ মাস ১ বছরের মধ্যে প্রতিদিন ৫০টি গাভী থেকে যেন দুধ আসে সেইলক্ষে কাজ করছি। পড়ালেখা শেষে চাকুরী করলেই ভালো জীবনযাপন করা যায় এমনটি সঠিক নয় বলেও সে জানান। স্বল্পসুধে সরকারিভাবে যদি ঋণের ব্যবস্থা থাকত তাহলে আমাদের মত শিক্ষিত উদ্দ্যোগতাতের জন্য অনেক ভালো হত। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নিয়াজ কাযমীর বলেন, রাব্বীর র্ফামে অনেক ছোট-বড় বিদেশী গরু আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *