por-kalingans-lilmonerhat-kraim

এম.এস.সাগর, কুড়িগ্রাম:
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি সহযোগিতায় নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ীর খেলারভিটা থেকে কালীগঞ্জ সিএন্ডবি বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার দুধকুমর নদের ভাঙ্গন রোধে ১৫টি স্পারে ২৫হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও মাত্র ২হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে রংপুরের মেসার্স খোরশেদ আলম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুত্রে জানাযায়, দুধকুমার নদের ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ প্রতিস্থাপন করার জন্য গত ফেব্রয়ারী মাসে ১কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। রংপুরের মেসার্স খোরশেদ আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। কাজ উদ্বোধনের পর ৩-৪দিন এলোমেলো ভাবে মাত্র ২হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখে লাপাত্তা হয়। সিডিউল মোতাবেক আগামী নভেম্বরে কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারিত।
একটি সুত্র জানান লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম কে ঠিকাদারী কন্সট্টাকসন ঠিকাদার মেসার্স খোরশেদ আলম ম্যানেজ করে প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে ২কিলোমিটার দুধকুমর নদের ভাঙ্গন রোধে ১৫টি স্পারে ২৫হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও মাত্র ২হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে সরকারী নীতিমালাকে অমান্য করে কাজ করায় এদিকে পানি কমার সাথে দুধকুমর নদী ভাঙনে নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ও কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের একাংশসহ ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নাগেশ্বরীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেরুবাড়ী ও কালীগঞ্জ ইউনিয়ন একাংশ।
এলাকাবাসী জানায়, ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করায় ভেবেছি আর হয়ত ভিটে মাটি হারাতে হবে না। ঠিকাদার মাত্র ২হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে কাজ বন্ধ রাখায় অব্যাহত নদের ভাঙ্গনে আমরা সর্বস্ব হারাতে বসেছি। কাজটি দ্রুত সমাপ্ত না হলে আমাদের শেষ সম্বলটুকু দুধকুমরে বিলিন হবে। সাইডে পানি উন্নয়ন বোডের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট ও ইঞ্জিনিয়ার ভাঙ্গন রোধে কাজ দেখার জন্য একদিনেও আসেননি। মুলত কাজ দেখার মত কেউ নেই।
ঠিকাদার খোরশেদ আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওযা যায়নি।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ না হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ বলেন, শুনেছি বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এ কাজের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা আমাকে অবগত করেনি।
লালমনিহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানান জিজ্ঞাসা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধতন কতিপক্ষ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন কী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *