চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এদেশের মানুষকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট এবং তা বিদেশে পাচার করা।

লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। একজন পলাতক দণ্ডিত আসামি বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় সভ্য দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।তারা মানবাধিকারের কথা বলে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন ।

মানবতাবিরোধী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে তাদের কপালে কলঙ্কের তিলক এঁকে দিয়েছেন জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এই লজ্জা সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের। নির্ধারিত তারিখে নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী যাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণপভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকবো এবং প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সদা সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে সপরিবারে হত্যা করার পর মোশতাক-জিয়াচক্র এদেশকে আবারো পাকিস্তান বানানোর স্বপ্নে বিভোর ছিল। কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য নিয়মে তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাসঘাতক খোন্দকার মোশতাকের মৃত্যুর পর তার জানাজায় মানুষ তো দূরের কথা একটি কাকপক্ষীও শরিক হয়নি। সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমানের লাশ এক খণ্ড মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। এটাই হলো ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি। এখনো যারা বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাদেরও পরিণতি একই হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।

১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও শওকত আলীর সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মো. আসলাম হোসেন, রেজাউল করিম কায়সার, সাবের আহমদ সওদাগর, লুৎফুল হক খুশি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *