ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ॥
ধোবাউড়া উপজেলায় পান ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির কতিপয় সদস্যদের হাতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা লাঞ্ছিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আলমগীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মাওলানা রুহুল আমিন ফরাজী ও মোঃ সাকিব হোসেন কে ধোবাউড়া উপজেলার পান ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির কতিপয় সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩ ঘটিকায় ব্রীজ মোড় স্মৃতিসৌধের সম্মুখে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ময়মনসিংহ জেলা কমান্ডের কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ময়মনসিংহ জেলা কমান্ড এর চেয়ারম্যান শেখ রেজাউল করিম রনি। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ময়মনসিংহ জেলা কমান্ড এর মহাসচিব মাওলানা রুহুল আমিন ফরাজী এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুনুল হক মামুন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্য আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোহাম্মদ সুজন মিয়া, নাহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, তাসলিমা আক্তার সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানগণ। প্রতিবাদ সভায় বক্তাগন বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি ধোবাউড়া কলসিন্দুর বাজারে ধোবাউড়া উপজেলার পান ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির কতিপয় সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হয় পান ব্যবসায়ী মোঃ সাইদুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাওলানা রুহুল আমিন ফরাজী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আলমগীর হোসেন এবং মোঃ সাকিব হোসেন সহ চারজন। এ সময় তাদেরকে জিম্মি করে ব্যবসার চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবাদের নিয়ে কটুক্তি করে মোঃ বাবু, মোঃ সিরাজ, মোঃ মাসুদ, মোঃ আলী সহ অনেকেই। এরই প্রতিবাদে ২৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিবাদ সভা করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ময়মনসিংহ জেলা কমান্ড। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বক্তব্যে বলেন, ধোবাউড়া উপজেলায় পান ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির হাতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা লাঞ্চিত এটি মেনে নেওয়া হবে না। এমত অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ধোবাউড়া উপজেলার পান ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ রাখার জন্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানগণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *