নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এক ব্যক্তি নন্দীগ্রামের সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন সবই ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্র। সাংবাদিক পরিবারের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমন করে মানহানি করেছে জানিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাংবাদিকের পিতা উপজেলার রিধইল কৈগাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। এতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করেছে কৈগাড়ী গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে আব্দুর রহিম। সে একজন দাদন ব্যবসায়ী, তার ভাই গোলাম রসুল নিজের নামের আগে ডাক্তার উল্লেখ করে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রি করে। গোলাম রসুল কোনো ডাক্তার নন।

নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান ও নুরনবী ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার বাবা আহম্মদ আলীর ভোগদখলকৃত কৈগাড়ী সোনারপাড়া-শেরপুর সড়ক ঘেঁষা ৯০শতাংশ জায়গা ১/৩/৭৪ এর ১০২৩ নং দলিলমূলে দীর্ঘদিন ভোগদখল করছেন। সম্পত্তি রেকর্ডের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন বিভিন্ন ব্যক্তির নামে সম্পত্তিগুলো রেকর্ড হয়েছে। এ ব্যাপারে বগুড়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যা বিচারাধিন। শেরপুর সড়ক ঘেঁষা ১০ শতাংশ জায়গা আবুল আক্তার নামে রেকর্ড হয়েছে। রহমতুল্লাহ, রহিম, গোলামের নামে ওই জায়গার রেকর্ড না থাকলেও জায়গাটি জবরদখলের চেষ্টা করছে। ২৫ ও ২৬ নভেম্বর তারিখে ধান-কাটামাড়াই শেষে রাজ্জাকের ভোগদখলকৃত ফাঁকা জায়গায় খড়ের পালা রেখে পাশেই অন্য দুই ব্যক্তির রাখা খড়ের মোতায় রহিমরা নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়ে সাংবাদিক পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। থানায় দুইপক্ষের দুটি অভিযোগ হলে থানা পুলিশ দুই অভিযোগের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, তার বড় ছেলে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করছেন, সে পুলিশের সোর্স না। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে বলেই জাতীয় দৈনিকে প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে বেতনভূক্ত নিয়োগে দায়িত্ব পালন করছে। থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের হয়নি, অথচ গ্রেফতার হয়েছে বলে অপপ্রচার করা হয়েছে। নানা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তার ছেলের ১৫ বছরের সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে আঘাত করেছে এবং পরিবারের মানসম্মান খুন্ন হয়েছে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার একটি হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়সহ বেশকয়েকটি ক্রাইম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নজরুল। এরপর থেকেই একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করা হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে আব্দুর রহিম ও গোলাম রসুলের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টা বিষয়ে থানায় ২৮ নভেম্বর জিডি হয়েছে উল্লেখ করে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ কারো পক্ষ নিয়ে কাজ করেনি। যেহেতু ওই সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা আছে, এজন্য উভয়পক্ষকে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *