ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ১০০ নং শংকরপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম’র বিরুদ্ধে ্এ্যান্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।গনমাধমে সংবাদ প্রকাশের পরও বহাল তবিয়্যতে দাবিয়ে চলছেন।অপরদিকে অভিযোগ করার পরও, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন কোন ব্যবস্থা নেওয়াতো দুরের কথা,বরং অভিযোগকারিকে মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নলছিটি পৌর কাউন্সিলর খান জামাল উদ্দিনসহ ৩৫/৩৬ জন নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, শংকরপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত নাছিমা বেগম ০৮/০৭/২০১৮ ইং সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর শংকরপাশা গ্রামের জনগন, অভিভাবক, এসএমসি ও পিটি এর সদস্যবৃন্দ তার আচরনে অসন্তÍÍুষ্ট প্রকাশ করেছেন। অভিযোগগুলো হলো, যেমন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কতৃক নিয়মিত সভা ও মা সমাবেশ না করা অসৌজন্যমূলক আচরন, অর্থ আত্মসাত, শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ, প্রজেক্টর মেশিন ব্যবহার না করে নিজের বাসায় নিয়ে নিজ সন্তানদের ব্যবহার করতে দেওয়া, শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদান না করানো, প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগমের বাসা বরিশাল শহরে হওয়ার কারনে বিদ্যালয়ে দেরিতে আগমন ও তাড়াতাড়ি প্রস্থানে অনিয়ম, মার্কশীট, প্রশংসা পত্র ও সার্টিফিকেট আনতে গেলে সরকারি টাকার ব্যতিরেকে বাড়তি টাকা নেওয়া, বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম কতৃক কোন প্রতিযোগীতা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা, রুটিনে তার(নাছিমা বেগম) নামমাত্র ক্লাশ থাকলেও তা নিয়মিত পাঠদান না করা, বর্তমান বছরসহ গত বছরের স্লিপ এর টাকা দিয়ে সঠিকভাবে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কোন কাজ না করে উক্ত টাকা আত্মসাত করা,অভিবাবকগন কতৃক প্রাক-প্রাথমিকের অনেক টাকা বরাদ্দ আসার পরে শ্রেণীকক্ষ অপরিষ্কার থাকা, নোংরা, স্যাতস্যাতে, অন্ধকারময় শ্রেণীকক্ষ থাকা। প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা করার কথা থাকলেও অনুষ্ঠান না করা এবং অনুষ্ঠানের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা আত্মসাত করা। বিজয়ফুল অনুষ্ঠান না করা, মিড ডে মিল কার্যক্রম সঠিকভাবে প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম কতৃক পরিচালনা না করা এমনকি সহকারী শিক্ষকরা অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ করে দেওয়া, বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে থাকা ব্ল্যাকবোর্ড ভাল না থাকায় চক দিয়ে লিখতে কষ্টসাধ্য হলে সহকারী শিক্ষকরা হোয়াইট বোর্ড কেনার জন্য বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খান জামালের শরণাপন্ন হন তখন সভাপতি খান জামাল প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগমকে বাজেটের টাকা দিয়ে ক্রয়ের নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়নে গড়িমসির অভিযোগ রয়েছে। উপরোক্ত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে পাঠদানের সুষ্ঠ পরিবেশ বজার রাখার নিমিত্তে তদন্ত করে প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলী অথবা যোগ্যতা সম্পন্ন পুরুষ প্রধান শিক্ষক দেওয়ার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানান, নইলে অভিভাবকগণ এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে বলে অভিযোগকারীরা জানান। এ ব্যপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন ও প্রধান শিক্ষক নাছিমা বেগম উভয়’র কাছে জানতে চাইলে দুইজনই মুঠোফোন রিসভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *